নিজস্ব প্রতিবেদন: ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত হিমঘর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এত কম সময়ের মধ্যে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছে হিমঘর কর্তৃপক্ষ ও আলু সংরক্ষণকারীরা। সরকারি নির্দেশিকা মেনে হিমঘর খালি করলে সাময়িক আলুর দাম কমলেও অচিরেই রাজ্যে আলুর সঙ্কট তৈরী হওয়ার সিঁদূরে মেঘ দেখছেন অনেকে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিগত কয়েকমাস ধরে মধ্যবিত্তকে ক্রমশ ভাবিয়ে তুলেছে আলুর বাজার মূল্য। সময় যত গড়িয়েছে ততই বেড়েছে খুচরো বাজারে আলুর দাম। বর্তমানে খুচরো বাজারে প্রতি কিলো জ্যোতি আলুর দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।  আলুর এই আগুনলাগা দামের মাঝেই রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত হিমঘর খালি করতে হবে। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন হিমঘর মালিক ও আলু সংরক্ষনকারীরা। 


আরও পড়ুন:  'দিদি আসছে চলো ভাই', শুভেন্দুর খাসতালুকে তৃণমূলের স্লোগানে 'মমতা'ই


সূত্রের খবর গত মরসুমে বাঁকুড়া জেলার মোট ৪৩ টি হিমঘরে আলু মজুত করা হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ১২ লক্ষ বস্তা আলু। ধীরে ধীরে এই মজুত আলুর একটা বড় অংশ বেরিয়ে গেলেও এখনও হিমঘরগুলিতে প্রায় ১২ শতাংশ আলু মজুত আছে। কিছু কিছু হিমঘরে ৭০ - ৯০ হাজার বস্তা আলু এখনও মজুত রয়েছে। আলু হিমঘর থেকে বের করতে হলে প্রথমে তা হিমঘরের চেম্বার থেকে নামিয়ে শেডে শুকানো হয়। 


তারপর তা বাজারের উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। অধিকাংশ হিমঘরের শেডের ধারণ ক্ষমতা ৮ থেকে ১০ হাজার বস্তা। অর্থাৎ হিমঘরে মজুত সব আলু ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেডে নামিয়ে তা বাজারে পাঠানো অসম্ভব। তা ছাড়া সব সংরক্ষণকারী এখনই মজুত আলু বিক্রিতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সরকারি নির্দেশিকা কার্যকর করা সম্ভব তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরী হয়েছে।  


এদিকে হিমঘরে এখনো মজুত থাকা সমস্ত আলু একসঙ্গে বাজারে চলে এলে বাজারে আলুর দাম সাময়িক কমার সম্ভাবনা থাকলেও নতুন আলু ওঠার আগে বাজারে আলুর সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা আলু ব্যবসায়ী,  সংরক্ষণকারী ও হিমঘর মালিকদের। আলু নিয়ে এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। আলু নিয়ে এই অবস্থার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে বিজেপি ও তৃনমূল।