পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি করলেন গ্রামবাসীরাই! বাহবা প্রশাসনের
বর্তমানে মহিলাদের ৪টি এবং পুরুষদের ৬টি বেড আছে। আরও তৈরি হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে আমফান। রাজ্য় সরকারের ওপর চাপ কমাতে এবার এগিয়ে এলেন মালবাজারের বাসিন্দারা। রাজ্যে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার জন্য নিজেরাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানালেন মালবাজারের সাইলিজোট এলাকার বাসিন্দারা। কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলোতে চাপ বাড়ছে। যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন তাতে কিছুদিন পর আর কোয়ারেন্টিন সেন্টারে জায়গা দেওয়া মুশকিল হয়ে যাবে প্রশাসনের।
এই সব থেকে রেহাই পেতে গ্রামের মানুষেরাই নদীর পারে তৈরি করেছেন কোয়ারেন্টিন সেন্টার। মালবাজার মহকুমার সাইলিজোট এলাকায় তৈরি হয়েছে কোয়ারেন্টিন সেন্টার৷ গ্রামের মানুষেরা নিজেরাই টাকা দিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন অস্থায়ী সেন্টার। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিস প্রশাসন। এই কোয়ারেন্টিন সেন্টারের উদ্দোক্তা সোনম লামা বলেন, "প্রতিদিন গ্রামে আসছে ভিন্ন রাজ্যে কাজ করা গ্রামের ছেলে মেয়েরা। কিন্তু বাইরে থেকে আসলেই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বর্তমানে যে সব কোয়ারেন্টিন সেন্টার আছে, তা সবই হাউসফুল। তাছাড়া গ্রামের থেকে বহু দূর- দূরান্তে অবস্থিত সেই সব কোয়ারেন্টিন সেন্টার।"
তিনি জানান, "বর্তমানে মহিলাদের ৪টি এবং পুরুষদের ৬টি বেড আছে। আরও তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে ২ জন ভিন রাজ্যের মানুষ রয়েছে এই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে চেকআপ করছেন কোয়ারেন্টিন থাকা মানুষদের। ঘুরে দেখছে পুলিস প্রশাসনও।"
তবে সমস্যাও রয়েছে। কারণ এই জায়গা হাতিদের মেন করিডোর। পাশেই ভুট্টাবাড়ি জঙ্গল। রাত হলেই হাতির দল হানা দেয় এই সব এলাকায়। তাই কিছুটা হলেও ভয় রয়েছে। তবে গ্রামের যুবকেরা রাত হলেই মশাল নিয়ে পাহারা দেই এই কোয়ারেন্টিন সেন্টার এলাকায়। যাতে হাতির দল এদিকে না আসতে পারে। গ্রামের মানুষের দাবি, রাতের দিকে যদি বনকর্মীরা এলাকায় থাকেন, তাহলে হাতির হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে। চিকিৎসক বা বাড়ির লোকদের জন্য আলাদা প্রতীক্ষালয়ও তৈরি করা হয়েছে। গ্রামের মানুষদের দাবি, এইভাবে বিভিন্ন গ্রামে এরকম কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্ট দূর হবে।
আরও পড়ুন, 'মৌলিক সুবিধাটুকুই মানুষ পাচ্ছে না, আমি ব্যথিত', আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে ফের সরকারকে খোঁচা রাজ্যপালের