নিজস্ব প্রতিবেদন: মাছের ব্যবসা দিয়ে শুরু হয়েছিল কেরিয়ার। এরপর আস্তে আস্তে প্রবেশ করে পচা মাংসের কারবারে। প্রথমে অন্যের হয়ে কাজ করলেও পরে আস্তে আস্তে শুরু করেন নিজের ব্যবসা। আস্থাভাজনদের নিয়ে দল গড়ে  কিছুদিনের মধ্যেই পচা মাংসের কারবারে বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন বিশ্বনাথ ঘোড়ুই ওরফে বিশু। পচা মাংসই বিক্রি করেই মাত্র কয়েক বছরে কোটিপতি হয়ে ওঠেন বিশু। সোনারপুর থেকে ধৃত ভাগাড়কাণ্ডের মূলচক্রী বিশুকে জেরা করে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ভাগাড়কাণ্ডে গ্রেফতার কিংপিন!


সোনারপুরে একাধিক প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে বিশুর। ঝাঁ চকচকে বাড়িগুলিতে আভিজাত্যের ছাপ স্পষ্ট। এখানেই শেষ নয়, বিশুর আরও একটি বাড়ি ও ৩টি ফ্ল্যাট রয়েছে পূর্ব তেঁতুলিয়াতেও। এক কামরার ঠাঁই থেকে পথ চলা শুরু করেছিলেন যে  বিশু, গত দশ বছরে তার জীবনযাত্রা আমূল বদলে গিয়েছে। এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক তিনি। রয়েছে একাধিক বাড়ি, গাড়ি।  


২০০২ সালে পারিবারিক সূত্রে মাছের ব্যবসা শুরু করেছিলেন বিশু। কিন্তু পচা মাংসের ব্যবসাতে নামেন বছর দশেক আগে। আর তখন থেকেই বদলাতে শুরু করে বিশু ও তার পরিবারের জীবনযাত্রায়। খুব কম সময়ে বিশুর প্রতিপত্তি দেখে কিছুটা সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয়দের। কিন্তু মাছের ব্যবসার আড়ালে যে বিশু এই কাজ করতেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি তারা।


আরও পড়ুন: জি ২৪ ঘণ্টা এক্সক্লুসিভ: এবার ‘বিষ’ চিংড়িতেও!


সোনারপুরে একাধিক বরফকল ও গুদামঘর রয়েছে বিশুর। জানা গিয়েছে, ভাগাড় থেকে সংগৃহীত পচা মাংস প্রথমে বরফকলে রাখা হত। এর পর মাছের পেটির নিচে রেখে সেই মাংসই  সরবরাহ করা হত শহরের বিভিন্ন জায়গায় ।  


মূলত সোনারপুরের বাড়িতেই পরিবার নিয়ে থাকেন বিশু। বাকি ফ্ল্যাট ও বাড়িগুলি ভাড়া দেওয়া রয়েছে। বৃহস্পতিবার সোনারপুর থেকেই বিশুকে গ্রেফতার করে বজবজ থানার পুলিস।


আরও পড়ুন: 'একবারের জন্য দেখা করো...' প্রেমিকাকে ডেকেই জড়িয়ে ধরলেন যুবক, তারপরের দৃশ্য ভাবাও কঠিন


এদিকে, ভাগাড়কাণ্ডে পুলিসের জালে ধরা পড়েছে আরও এক জন। শুক্রবার নারকেলডাঙা থেকে মহম্মদ একলাখ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বজবজ থানার পুলিশ। ধৃত ভাগাড়কাণ্ডর কিংপিন বিশুর ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।