বরুণ সেনগুপ্ত: পঞ্চায়েত নির্বচনে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ব্য়াপক হানাহানি হয়েছে। ভোটের আগে থেকে এখনওপর্যন্ত রাজ্যে প্রাণহানি হয়ে পঞ্চাশ জনেরও বেশি। সব দলের কর্মী-সমর্থকরাই রয়েছেন এই তালিকায়। ভাঙড়ে এক বোমবাজি, গুলির পর আজও সেখানে বেমা উদ্ধার হয়েছে। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কোচবিহারে চলল গুলি, শিশুর পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে গেল বুলেট


রাজ্যে বোমা উদ্ধার নিয়ে অর্জুন সিং বলেন, পুলিস যদি নিস্কৃয় থাকতো তাহলে এইসব বোমা উদ্ধার হতো কী করে? রাজ্য দশ কোটি মানুষ বাস করে। আজ থেকে বাংলায় বোমা অনেক দিন থেকেই পাওয়া যায়। ১৯৫০ সালে আমার বাবাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। বাংলায় সস্ত অস্ত্র হল বোমা। তাই সবাই এখানে তা ব্যবহার করে। এই ধরনের হানাহানি তখনই বন্ধ করা যায় যখন সব দল এক সঙ্গে বসে এই হিংসার বিরুদ্ধে সহমত হয়। আমাদের পার্টির লোক সবচেয়ে বেশি মরেছে। সরকারকেই এনিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। মরছে সব পার্টির লোক। কোথা থেকে এত অস্ত্র আসছে তা বলতে পারব না। কোনও বড় ঘটনা ঘটলে তো অল পার্টি মিটিং হয়। ৫৫ জন মারা গিয়েছে। একে অঘটনই বলা উচিত। একটা বার্তা যাওয়া উচিত যে কোনও পার্টিই এরকম কাজকে সমর্থন করছে না। রাজনৈতিকভাবে যদি কোনও জিনিস নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে পুলিসের পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।


বাংলায় বোমা-গুলির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অর্জুন সিং বলেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যে এ কে ৪৭ চলে, অটোমেটিক গান চলে। দেখলেন তো আতিক আহমেদকে কীভাবে মারা হল! পশ্চিম বাংলায় এখন সবকিছু সস্তা। এখনও কাট্টা চলে, বোমা চলে। তিন থেকে পাঁচ হাজার দাম। শুধু আওয়াজ করে মানুষকে ভয় দেখানো। বাংলায় এটা শুরু থেকেই হেয় আসছে। পুলিস রোজই বোমা উদ্ধার করে। তাই পুলিস কাজ করে না এটা বলা যায় না। এক্ষেত্রে শুধু প্রশাসনকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। এর জন্য সবাইকে একসঙ্গে বসে ঠিক করতে হবে। বলতে হবে এই হানাহানি চলবে না। রাজনৈতিক আপরাধ যখন শুরু হয়ে যায় তখন পুলিস কতটা আর সামাল দেবে। বাংলায় পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে হানাহানি হয়। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)