নিজস্ব প্রতিবেদন : পুলিশ বলল, "হ্যান্ডস্ আপ"। শাবল নিয়ে তেড়ে পাল্টা চোরকেই মারতে গেল পুলিশ। 'রংবাজ' চোরকে দেখে যেন কিছুটা 'ভড়কে' গিয়েই পিছিয়ে গেলেন পুলিসকর্মী। কিন্তু তারপর পুলিসকর্মী পকেট থেকে পিস্তল বের করতেই ফুস হয়ে গেল চোরের বীরত্বের ফানুস। হাত থেকে পড়ে গেল শাবল। বেগতিক বুঝে ধরা দিল চোর। আজব এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর বৈদ্যবাটিতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, বস্তাবন্দি হাত-পা-মুণ্ডহীন দেহ! অন্তর্বাসের স্টিকার দেখে মিলল ব্যাঙ্ককর্মীর পরিচয়


হুগলীর বৈদ্যবাটির এন সি ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা ইলা সেনগুপ্ত। বুধবার ইলা সেনগুপ্ত বাড়িতে ছিলেন না। ফাঁকা বাড়িতে সুযোগ বুঝে তালা ভেঙে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে চোর। ঘড়ির কাঁটায় রাত তখন ১২টা। শব্দ পেয়ে সজাগ হয়ে যান ইলাদেবীর প্রতিবেশীরা। বেগতিক বুঝে তখন গা ঢাকা দেয় চোর। প্রথমবার চুরির চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর ঘণ্টা ২ কেটে যায়। রাত আড়াইটে নাগাদ ফের তালা ভাঙার শব্দ পান প্রতিবেশীরা। বুঝতে পান ইলাদেবীর বাড়িতে কেউ ঢোকার চেষ্টা করছে। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী শেওড়ফুলি থানাতে খবর দেন তাঁরা।


প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিস। ইলাদেবীর বাড়িতে পৌঁছে, চারদিক থেকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে তারা। চোর যাতে টের না পায়, অতি সন্তর্পণে এরপর ঘরের মধ্যে ঢোকেন এক পুলিসকর্মী। দেখে, চোর তখন ঘরের আলমারির তালা ভাঙার চেষ্টা করছে। পিছন থেকে পুলিস "হ্যান্ডস আপ" বলতেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় চোর বাবাজীবন। হাতে থাকা শাবল নিয়েই পুলিসের দিকে তেড়ে যায় সে। দেরি না করে পকেট থেকে পিস্তল বের করেন ওই পুলিসকর্মী। পিস্তল দেখেই চোরের জারিজুরি সব শেষ হয়ে যায়। চোরকে পাকড়াও করে নেন ওই পুলিসকর্মী।


আরও পড়ুন, মা হতে চেয়েছিলেন! 'প্রেম' বাঁচিয়ে রাখতে স্ত্রী-কেই সরিয়ে দিলেন স্বামী


প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই বাড়ি ফিরে আসেন ইলা সেনগুপ্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৈদ্যবাটি এলাকায় হামেশাই চুরির ঘটনা ঘটছে। বাড়ি ফাঁকা রেখে কোথাও যাওয়ার জো নেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ তত্পরতা দেখাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অনেক সময়ই পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। আর তার ফলেই চোরের উপদ্রব বাড়বাড়ন্ত। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।