বদ্ধ এলাকায় করোনা সংক্রমণ আটকাবে অত্যাধুনিক যন্ত্র, বানিজ্যিকীকরণের অপেক্ষায় সাইকোক্যান
নির্মাণকারী ওই সংস্থার দাবী, এর থেকে নিসৃত ইলেকট্রন ও ফটোন কণা রোগীর হাঁচি, কাশি বা কথা বলার মাধ্যমে নির্গত লালারসে থাকা করোনা সংক্রমণককে নষ্ট করবে।
অয়ন ঘোষাল: করোনা ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচতে কার্যত দিশেহারা গোটা বিশ্ব। আর এরই মাঝে এক অত্যাধুনিক যন্ত্র বানাল এক সংস্থা। সাইকোক্যান, দেড় কিলোগ্রাম ওজনের একটা ডিভাইস। ঘরের মধ্যে কোথাও একটা আটকে দিলেই হবে। সঙ্গে লাগবে স্রেফ একটা প্লাগ পয়েন্ট। একটা সিএফএল বাল্ব জ্বলার মতো বিদ্যুতের খরচ। ব্যাস তাতেই কেল্লাফতে। এ এক এমন যন্ত্র যা ১০০০ ঘনমিটার এলাকায় এক কোভিড রোগীর থেকে অন্য কারুর দেহে সংক্রমণ ছড়াতে দেবে না। এমনই এক অত্যাধুনিক যন্ত্র তৈরি করেছে এক সংস্থা।
নির্মাণকারী ওই সংস্থার দাবী, এর থেকে নিসৃত ইলেকট্রন ও ফটোন কণা রোগীর হাঁচি, কাশি বা কথা বলার মাধ্যমে নির্গত লালারসে থাকা করোনা সংক্রমণককে নষ্ট করবে। তাদের আরও দাবি, এই যন্ত্র কাছাকাছি থাকলে মাস্ক বা পিপিই না পরেও অনায়াসে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে এই মারণ ভাইরাসের ছোঁয়াচে প্রভাব থেকে। যাঁরা একেবারে সামনে থেকে করোনার সঙ্গে লড়ছেন, যেমন ডাক্তার, নার্স, পুলিস তাঁদের কাছে কলকাতায় তৈরি এই ডিভাইস ঈশ্বরের আশীর্বাদের চেয়ে কম নয় বলেই মনে করছেন একাংশ।
এই যন্ত্রের দাম হাজার কুড়ির মধ্যে। স্কুল, কলেজ, অফিস, জিমের মতো কোনও বদ্ধ এলাকা, যেগুলি এই মুহুর্তে কোভিড গাইডলাইনের মধ্যে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, সেই সমস্ত এলাকায় কাজ করবে এই ডিভাইস। আজ শিশুমঙ্গল হাসপাতালে এই ডিভাইস দান করল নির্মাণকারী সংস্থা। পরে এটির বানিজ্যিকীকরনের চিন্তাভাবনা রয়েছে।