কমলিকা সেনগুপ্ত ও অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে জল্পনা শুরু হতেই এল চাঞ্চল্যকর খবর। তৃণমূল সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে মতুয়াদের একাংশের মতানৈক্যের জেরেই নিজেকে ভোটের ময়দান থেকে সরিয়ে নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। শান্তনুর এহেন কাণ্ডের পিছনে রয়েছে রহস্যময় এক কারণও। 


তৃণমূলের দাবি, মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে রাজনৈতিক ভাগাভাগি চাইছে না মতুয়া যুব সমাজের একাংশ। তাঁদের দাবি, রাজনীতিমুক্ত থাক ঠাকুরবাড়ি। মতুয়াদের এই অংশই মূলত শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে ছিলেন। তারা পাশ থেকে সরে যেতে হাল ছেড়েছেন শান্তনুও। তাই তাঁর জন্য সভা করতে সোমবার যোগী আদিত্যনাথ উত্তপ্রদেশ থেকে উড়ে এলেও সেই মঞ্চে দেখা যায়নি তাঁকে। 


 



শান্তনুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার রাত থেকে গুরুতর অসুস্থ তিনি। রাতে ডাক্তার এনে চিকিত্সা করাতে হয়। চলেছে স্যালাইন। সোমবারও বিছানা থেকে উঠতে পারেননি তিনি। তাই যেতে পারেননি যোগীর সভায়। তবে কেন তা জানানো হল না দলীয় নেতৃত্বকে। শান্তনুরও ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির দাবি, 'সময় পাওয়া যায়নি।'


ওদিকে উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা Zee ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য শান্তনু বিজেপির কাছে যত টাকা দাবি করেছিলেন তা দেয়নি দল। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দর কষাকষি চলছিল। এরই মধ্যে মনোনয়ন পেশ করেন শান্তনু। কিন্তু মতুয়া যুবারা তাঁর পাশ থেকে সরে যেতেই রণেভঙ্গ দিয়েছেন তিনি। 


রামপুরহাট, কৃষ্ণনগরে অমিত শাহের সভায় জনপ্লাবন, তিল ধারণের জায়গা নেই আসেপাশের ছাদেও


শান্তনুর এহেন আচরণে চিন্তার ভাঁজ রাজ্য বিজেপির নেতাদের কপালে। কেন শান্তনু দলকে তাঁর অনুপস্থিতির কথা আগে থেকে জানালেন না সে প্রশ্ন ঘুরছে দলের অন্দরে। শান্তনুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে এদিন দফায় দফায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিজেপি নেতারা। সূত্রের খবর, কারও ফোনই ধরেননি তিনি। 


বিজেপি সূত্রের খবর, বিষয়টি অমিত শাহের কাছেও পৌঁছেছে। এদিন শান্তনুকে ফোন করেন অমিত শাহের আপ্তসহায়ক। সূত্রে খবর, সেই ফোনও ধরেননি তিনি।