জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চন্দ্রযানের সঙ্গে খনার কোনও যোগ থাকতে পারে? থাকতে পারে না। নেই, আবার আছেও। আসলে আগের বারে ভারতের চন্দ্রাভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। মুখ থুবড়ে পড়েছিল চন্দ্রযান-২। চন্দ্রযান-৩ নিয়ে তাই মানুষের আগ্রহ কৌতূহল তুঙ্গে। এবার সাধারণ মানুষের একাংশ হঠাৎ বলতে আরম্ভ করেছেন, চন্দ্রযান-৩ ব্যর্থ হবে না, কেননা, সে তো খনার বচন মেনে চলছে! কী বচন? 'মঙ্গলে ঊষা, বুধে পা'! হয়তো রসিকতাই, কিংবা কোনও সুদূরতম বিশ্বাসের জায়গা থেকেও উঠে আসতে পারে এমন মন্তব্য। তবে যা-ই হোক না কেন, বিষয়টি চিত্তাকর্ষক।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Chandrayaan-3 Live Updates: ক্রমশ লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে চন্দ্রযান-৩! 'বিক্রম' চাঁদের মাটিতে কখন ছাড়বে 'প্রজ্ঞান'কে?


খনা বা ক্ষণা ছিলেন জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী নারী। যিনি তাঁর বচনের জন্য সমাদৃত। তাঁর আসল নাম নাকি লীলাবতী। খনার ভবিষ্যতবাণীগুলি 'খনার বচন' নামে পরিচিত। অনুমান, ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তাঁর জন্ম। থাকতেন উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের বেড়াচাঁপার দেউলিয়া গ্রামে (বর্তমান চন্দ্রকেতুগড় প্রত্নস্থল, যেটি খনামিহিরের ঢিবি নামেও পরিচিত)। তবে, অন্য এক কিংবদন্তি অনুসারে, খনা বা লীলাবতী ছিলেন সিংহলরাজের কন্যা।


বরাহমিহির বা বররুচির পুত্র মিহির ছিলেন খনার স্বামী। 
খনা এবং মিহির দুজনেই জ্যোতিষশাস্ত্রে দক্ষতা অর্জন করেন। মিহির একসময় বিক্রমাদিত্যের সভাসদ হন। একদিন পিতা বরাহ এবং পুত্র মিহির আকাশের তারা গণনায় সমস্যায় পড়েন। খনা সেই সমস্যার সমাধান দিয়ে দেন। তা রাজা বিক্রমাদিত্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। গণনা করে খনার দেওয়া পূর্বাভাসে রাজ্যের কৃষকরা উপকৃত হতেন বলে রাজা বিক্রমাদিত্য খনাকে তাঁর সভার 'দশমরত্ন' আখ্যা দেন। কিন্তু স্বামী যা-ই হোক, শ্বশুর বরাহ তাঁর বউমার এই প্রতিপত্তি মোটেই ভালো চোখে নিলেন না। রাজসভায় প্রতিপত্তি হারানোর ভয়ে প্রতিহিংসা জাগল তাঁর মনে। তিনি পুত্র মিহিরকে আদেশ দিলে মিহির তাঁর স্ত্রী লীলাবতীর জিহ্বা কেটে দেন। এর কিছুকাল পরে খনার মৃত্যুও ঘটে। 


আরও পড়ুন: Chandrayaan-3 Moon Landing: 'বিক্রমে'র চন্দ্রজয়? চাঁদের লক্ষ্যে ধারাল হচ্ছে আস্তে আস্তে...


খনা যা ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন, তার অধিকাংশই মিলে যায় বলে বিশ্বাস গ্রামীণ মানুষের। বাঙালির লোকসংস্কৃতিতে খনার বচনের বিশেষ জায়গা রয়েছে। খনার বচন মূলত কৃষিতত্ত্বভিত্তিক ছড়া।


তবে খনার এই বচনটি খুবই বিখ্যাত-- 'মঙ্গলে ঊষা বুধে পা,/যথা ইচ্ছা তথা যা'। এর অর্থ, মঙ্গলবারে রাত যখন ভোর হয় অর্থাৎ, বুধবার পড়ে তখন যদি কোথাও যাত্রা করা যায়, তাহলে সেই কাজে সফল হওয়া যায়।


নিছকই বিশ্বাস। কেননা, নিশ্চয়ই চন্দ্রযানের ক্ষেত্রে এই সব দিনতিথি দেখা হয়নি। কিন্তু মানুষ এ নিয়ে নিছক মজা করছেন।   



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)