Nadia News: সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে নামলেন একে একে ৩ যুবক, চোখের সামনে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা
Nadia News:একজন ট্যাঙ্কে নামার পর আর কোনও আওয়াজ নেই। অন্যজন গেল। কোনও আওয়াজ নেই। যে যাচ্ছে তার আর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছ না। এরপরই ট্যাঙ্কে নামা বন্ধ করা হয়। উপর থেকে উঁকি মেরে দেখা যায় ৩ জন অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে
অনুপ দাস: সেপটিক টাঙ্কে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ৩ যুবক। মঙ্গলবার ওই ঘটনায় শোকের ছায়া নদিয়ার ভীমপুর থানার নতুন গ্রামে। একজনকে উদ্ধার করতে নামেন অন্যজন। এভাবেই ৩ জন ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো দেখতে গিয়ে মুখের কাছে বিকট শব্দে ফাটল মোবাইল ফোন, মৃত্যু তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর
কী হয়েছিল আসলে? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে নদিয়ার ভীমপুর থানার নতুন গ্রামে বাড়ি করছেন দীপক বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। সেই বাড়িতে সম্প্রতি সেপটিক ট্য়াঙ্ক তৈরি হয়েছে। আজ সেই ট্যাঙ্কের সেন্টারিংয়ের কাঠ খুলে গিয়েছিলেন ওই তিনজন। প্রথমে একজন ট্যাঙ্কে নামেন। কাজ করতে করতে তাঁর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে চেম্বারে নামেন অন্য একজন। তারও কোনও সাড়া না পেয়ে ট্যাঙ্কে নামেন তৃতীয়জন। তারও কোনও সাড়া না পেয়ে অন্যান্য শ্রমিকরা চিত্কার করতে থাকেন। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তারা ট্যাঙ্কটি ভাঙার চেষ্টা করেন। খবর যায় পুলিসে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ভীমপুর থানার পুলিস। জেসিপি নিয়ে এসে ট্যাঙ্ক ভেঙে উদ্ধার করা হয় ৩টি দেহ। ততক্ষণে দেহ তিনটি নিথর হয়ে গিয়েছে। তিনটি দেহ উদ্ধার করা নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিত্সকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। যারা মারা গিয়েছেন সেই তিন যুবকের নাম শুভেন্দু দে(২৫), সুমন বিশ্বাস(২৫), অমৃত বিশ্বাস(৩২)।
কৃষ্ণগঞ্জের ওসি বাবীন মুখোপাধ্যায় বলেন, বেল দুটোর সময়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। খউব তাড়াতাড়ি এদের পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা দেবনাথ সরকার বলেন, একজন ট্যাঙ্কে নামার পর আর কোনও আওয়াজ নেই। অন্যজন গেল। কোনও আওয়াজ নেই। যে যাচ্ছে তার আর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছ না। এরপরই ট্যাঙ্কে নামা বন্ধ করা হয়। উপর থেকে উঁকি মেরে দেখা যায় ৩ জন অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে। তখন জেসিপি এনে ট্যাঙ্ক ভেঙে ৩ জনের দেহ বের করা হয়।
অন্যদিকে, কালাচাঁদ মণ্ডল নামে অন্য এক গ্রামবাসী বলেন, এরা সবাই রাজমিস্ত্রির কাজ করে। আজ ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে ভিতরে গিয়েছিল। একজন গিয়ে কিছুক্ষণ কাজ করার পর তার আর কোনও শব্দ পাওয়া যায়নি। এভাবে মোট তিনজন ট্যাঙ্কে নামে। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা পরে জেসিপি এনে ট্যাঙ্ক ভাঙা হয়। ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে।