নিজস্ব প্রতিবেদন:  বাড়িতে তখন ২ সন্তানকে নিয়ে একাই ছিলেন গৃহবধূ।  পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ছিলেন না। কলিং বেল বাজায় দরজা খুলছিলেন মহিলা। দেখেন, টিপটাপ দুই যুবক ও এক মহিলা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। নিজেদের তাঁরা পরিচয় দেন ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট হিসাবে। মহিলা কথা বলতে শুরু করেন, ঘরে বসতে দেন তাঁদের। জল খেতে চেয়েছিলেন তিন জন। রান্নাঘর থেকে জল এনে দেখেন, তাঁর ২ সন্তানকে কোলে নিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন দুজন। আরেকজন বাড়ির বিভিন্ন জিনিস হাতড়িয়ে দেখছেন। মহিলার কাছে নিমেশেই পরিস্কার হয়ে যায় সবকিছু। ব্যাঙ্ক রিকভারি এজেন্টের পরিচয়ে আসলে ওই দুই যুবক আর মহিলা কী করতে এসেছিলেন? আজ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে যে ঘটনা ঘটল, তা থেকে সচেতন হয়ে যান আপনারাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার সকালে তখন ছেলেমেয়েকে খাইয়ে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাপস গিরির স্ত্রী। সেসময় বাড়িতে ছিলেন না তাপস। দুপুর নাগাদ তাঁর বাড়ির বেল বেজে ওঠে। স্ত্রী দরজা খুলতে দেখেন তিন জন দাঁড়িয়ে রয়েছে। পরিবারের দাবি, ওই তিন জন জানিয়েছিলেন ব্যাঙ্কের থেকে এসেছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: উঠোনে কাজ করছিলেন, ছেলে ডেকেছিল ‘বাবা’, সাড়া দিয়েই করে ফেললেন সবচেয়ে বড় ভুল...


নিজেদের ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট হিসাবে পরিচয় দেন। ঘরে ঢুকে বসেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে একজন জল খেতে চান। তাপস গিরির স্ত্রী রান্নাঘরে জল আনতে যান। ফিরে দেখেন, তাঁদের দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন এক মহিলা ও এক পুরুষ। অপর জন ঘরের আলমারি ঘাটছেন।


তাপস গিরির স্ত্রীর কাছে মোটা টাকা চান ওই ব্যক্তি। কিন্তু মহিলার বুদ্ধিমত্তার জোরে অপারেশন সাকসেসফুল হয় না তাঁদের। মহিলা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তারস্বরে চিত্কার শুরু করেন। তাঁর চিত্কারে ততক্ষণে জড়ো হয়ে যান প্রতিবেশীরা।


আরও পড়ুন: বাংলার সোনার মেয়ে স্বপ্নাকে ১০ লক্ষ টাকা, চাকরির প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর


পরে ওই দুই যুবককে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, মেহেরাব ও মেহবুব মল্লিক নামে ওই দুই যুবকের বাড়ি এগরাতেই। পুতুল নামে ওই মহিলা অন্য এক পুরুষের বাইকে চেপে পালিয়ে যান। তাঁকে ধরা সম্ভব হয়নি।


দুই ছিনতাইবাজকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। পরে তাঁদের পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়।