Bangaon: `বাবা, আমি টাকা পাঠালে ফল কিনে খেও`! সেই বাবা এখন ছেলের মৃতদেহের অপেক্ষায়...
Bangaon: একই গ্রামের তিন ছেলের এক সঙ্গে মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবারপরিজন-সহ গোটা এলাকা। সকলে মৃতদেহের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে মৃত শ্রমিকদের বাড়ি গেলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।
মনোজ মণ্ডল: সংসারে অর্থাভাব। তাই ভিনরাজ্যে গিয়েছিলেন নতুন কেরিয়ারের খোঁজে। আর ফিরলেন না। ফিরল তাঁদের নিথর দেহ। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে বনগাঁয়। খবর পেয়ে মৃত শ্রমিকদের বাড়ি গেলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি।
আরও পড়ুন: Sun Transit: সূর্য প্রবেশ করে গিয়েছে মীনে! এজন্য কোন রাশির জীবনে ঘনিয়ে আসছে অন্ধকার, কাদের ভাগ্যোদয়?
মুম্বই থেকে ছেলে ফোনে বলেছিলেন, 'বাবা আমি টাকা পাঠালে ফল কিনে খেও, শরীরের দিকে খেয়াল রেখো।' সেই ছেলে আজ আর নেই। চোখে জল নিয়ে সেই ছেলের মৃতদেহের অপেক্ষায় বৃদ্ধ বাবা। ছেলের নাম পীযূষ হালদার। তাঁদের বাড়ির পাশের বছরছাব্বিশের শংকরও কাজে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ে। সেই শংকরও আর ফিরবেন না। ফিরবেন না মনোরঞ্জন সমাদ্দার নামের এক তরুণও।
পীযূষের পাঁচ বছরের ছেলে বাবাকে দেখেনি বহুদিন। আজ, বৃহস্পতিবার বাবা বাড়ি ফিরবে। কিন্তু সেই-বাবা র ছেলেকে জড়িয়ে ধরবেন না! আজ আর তাঁর দেহে প্রাণ নেই! ছেলে কি এত বুঝবে?
মুম্বইয়ের নবনির্মিত ১৬ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে মৃত্যু বনগাঁর তিন যুবকের। মুম্বইয়ের বোরিবালিতে বিল্ডিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন বনগাঁ থানার সীতনাথপুর ও চাঁদার এই তিন যুবক। কাজের সময় বিল্ডিংয়ের কার্নিশ ভেঙে ষোলো তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। মৃত তিন যুবকের নাম-- পীযূষ হালদার (৪২), শংকর বৈধ (২৬), মনোরঞ্জন সমাদ্দার (৪৫)।
পরিবারের হাল ধরতে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরিবারের লোকেরা জানান, রাজ্যে কাজ নেই, তাই বাড়ি থেকে দূরে, ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকেই বাড়িতে সংসার চালানোর টাকা পাঠাতেন পীযূষ-মনোরঞ্জনেরা। একই সঙ্গে গ্রামের তিন ছেলের মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবারপরিজন-সহ গোটা এলাকা। মন ভার করে সকলে মৃতদেহের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন: Frankfurt | Germany: রমজানের আলোয় সেজে উঠল জার্মানি! ইতিহাসে এই প্রথম...
ইতিমধ্যে খবর পেয়ে মৃত শ্রমিকদের বাড়ি গেলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।