নিজস্ব প্রতিবেদন: এক যাত্রায় পৃথক ফল! বহরমপুরে বিজেপির (BJP) রথযাত্রা (Rath Yatra) নিয়ে ধুন্ধুমারকাণ্ডে পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে পুলিসের অনুমতি ছাড়াই বাইক মিছিল করল তৃণমূল (TMC)। বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীপ দাসের হুঁশিয়ারি, ' পুলিস যদি এমন করে, তাহলে পরিবর্তনের পর সব হিসেব হবে'। পুলিশের অনুমতি ছাড়া এলাকায় মিছিল করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেনও। তাঁর দাবি,  'থানার বড়বাবুকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি'।
 
কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। এদিন বহরমপুরের মধুপুর এলাকায় বিজেপি পার্টি অফিস থেকে রথযাত্রা শুরু হতেই পথ আটকায় পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিসকর্মীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। এর কয়েক ঘণ্টার পরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বাইক মিছিল বের করে তৃণমূল। নেতৃত্বে দলের স্থানীয় নেতা নান্নু হোসেন। সামনে হুটখোলা জিপে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি নিজেই। একেবারেই ভোটের প্রচারের কায়দায় হাত নাড়ছিলেন আশেপাশে লোকজন উদ্দেশ্যে। আর পিছনে প্রায় হাজার দশেক বাইকে সওয়ার হন তৃণমূল কর্মীরা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সিধু-কানুর বেদিতে জুতো পরে নাড্ডার সফরসঙ্গী আধাসেনা জওয়ান, অ্যাম্বুলেন্সে এল ফুল


ভাঙড় বিধানসভা থেকে শোনপুর এলাকা থেকে এই মিছিল শুরু হয়। এরপর কাশিপুর ও কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মিছিল শেষও হয় শোনপুরেই। পুলিসের অনুমতি ছিল কি? বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীপ দাসের দাবি, 'তৃণমূলের জন্য় কোনও আইন নেই, যা আইন সব বিরোধীদের জন্য। ওদের পুলিসের অনুমতি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। পুলিস যদি এমন আচরণ করে, তাহলে পরিবর্তনের পর সব হিসেব হবে'। বস্তত, পুলিসের অনুমতি ছাড়া মিছিল করার অভিযোগ মেনে নিয়েছেন তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন। তাঁর সাফাই, 'স্পল্প পরিসরে বাইক মিছিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সাধারণ মানুষের উৎসাহে মিছিল অনেক বড় হয়ে দিয়েছে। তবে থানার বড়বাবুকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।