নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যান্ডেল পঞ্চায়েত প্রধান রীতু সিংয়ের স্বামী, তৃণমূল নেতা দিলীপ রামকে, খুনের প্রতিবাদে আগামিকাল ২৪ ঘণ্টা চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকা বনধের ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দিন দুয়েক আগে হুমকি ফোন এসেছিল দিলীপ রামের কাছে। পুলিসকে সেকথা জানানো হয়েছিল। দুটো নম্বরও দেওয়া হয়েছিল পুলিসকে। কিন্তু কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। জানা যাচ্ছে, কল দুটো এসেছিল ঝাড়খণ্ড থেকে। আজকের খুনের সঙ্গে এই ফোন কলের কোনও যোগসাজশ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।


প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস মনে করছে, অনেকদিন ধরেই খুনের ছক কষা হয়েছিল। দিলীপ রামের গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছিল। সাধারণত অফিসে যাওয়ার সময় একা থাকেন দিলীপ রাম। হামলার জন্য তাই এই সময়টাই বেছে নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, অপারেশন সেরে পালিয়ে যাওয়ার অনেক পথ থাকায় স্টেশনকেই বেছে নিয়েছিল আততায়ীরা।  খুনের আগে রেইকিও করা হয়েছিল।


শনিবার সাতসকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঠিক কী ঘটেছিল? এদিন সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপ রাম। সেই সময়েই কয়েকজন এসে আচমকা দিলীপ রামকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তৃণমূল নেতার মাথার পিছনে গুলি লাগে।


আরও পড়ুন, আজ  'রাম কিষ্টো প্রমোহংশ' দেবের ডেথ সার্টিফিকেট  পাচ্ছে বেলুড় মঠ


আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্যান্ডেল জিআরপি এবং স্থানীয় লোকেরা তাঁকে চুঁচড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, ঘণ্টাঘানেকের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে। সন্দেহ করা হচ্ছে লালা পাসওয়ানের ভাই বিজু পাসওয়ানই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ব্যান্ডেল জিআরপি ও ব্যান্ডেল পুলিস ফাঁড়ি।