নিজস্ব প্রতিবেদন: গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার দুর্যোগ চলছে। নিম্নচাপের বৃষ্টি যেন থামতেই চাইছে না! বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে। সেই ক্ষোভে গোটা এলাকা 'অন্ধকার' করে দিলেন তিনি। পুলিসে খবর দিয়েও সমস্যার সুরাহা হল না! ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক কী ঘটেছে? গোপালনগর  ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য কাজল মণ্ডল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দিনভর আর কারেন্ট আসেনি। স্রেফ এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাই নয়, মঙ্গলবার বিকেলে ট্রান্সফর্মারে তালা ঝুলিয়ে দেন তিনি! ফলে অন্ধকারে ডুবে যায় স্থানীয় সুবাসিনী বিদ্যালয়ের আশেপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা।  কেন এমন কাজ করলেন? প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যখন ট্রান্সফর্মারে তালা ঝোলানোর সময়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কাজল মণ্ডল নাকি বলেন, ‘আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। তাই এলাকাতেও বিদ্যুৎ থাকবে না'। এতটাই ক্ষুদ্ধ হন যে, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিস আসে, কিন্তু রাত ১১ পর্যন্ত বহু চেষ্টা করেও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা যায়নি। পুলিসের গাড়ি আটকে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। 


 



আরও পড়ুন: Siliguri: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এই প্রথম, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যু ৩ মাসের শিশুর


এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বনস্পতি দেবের দাবি, 'এটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। পুলিসের মদতে গ্রামে সন্ত্রাস ও  লুঠপাটের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল তৃণমূল। এলাকার মানুষ রুখে দিয়েছেন। তাদের ধন্য়বাদ জানাই'। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি তৃণমূলের বনগাঁ জেলা সভাপতি শংকর দত্ত। তাঁর আশ্বাস, 'আইনে বাইরে গিয়ে কেউ কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)