নিজস্ব প্রতিবেদন: কদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ঘরের ভেতর এক কোমর জল। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই গ্রামবাসীরা আশ্রয় নিয়েছিল ত্রাণ শিবিরে। সেখান থেকে জোর করে গ্রামবাসীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের বেগড়িতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-WB Flood: জল যন্ত্রণায় ২ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা, দেখতে গিয়ে হেনস্থার শিকার বিজেপি বিধায়ক  


গত বুধ ও বৃহস্পতিবারের টানা বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়ে ডোমজুড়ের সরকারপাড়া এলাকা। গ্রামবাসীদের ঘরে ঘরে কোমর সমান জল ঢুকে যায়। রাস্তাও জল থৈ থৈ। মাটির বাড়ি ভেঙে যাবার উপক্রম। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা স্থানীয় সরকার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন ২৩ গ্রামবাসী। সেখানে বেগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খাবার এবং পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা হয়।



গত সোমবার রাতে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অরবিন্দ সরদার হঠাৎ গ্রামবাসীদের ত্রাণ শিবির ছেড়ে যেতে বলেন বলে অভিযোগ। ঝুমা সরকার নামে এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, তাদের বলা হয় বৃষ্টি কমে গেছে তাই বাড়ি চলে যেতে হবে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই মঙ্গলবার তারা বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু ঘরে ফিরে দেখেন ঘরে জল থৈ থৈ করছে। অনেকের মাটির বাড়ির অবস্থা এতটাই খারাপ যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।


আরও পড়ুন-Covishield: পুরসভার ভাঁড়ার শূন্য! শুক্রবার কলকাতায় বন্ধ কোভিশিল্ডের ডোজ  



গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই তৃণমূল কর্মীর চাপে তারা ত্রাণ শিবির ছাড়তে বাধ্য হন। অরবিন্দ সরদার নামে ওই তৃণমূল কর্মী অবশ্য তার বিরূদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জল কমে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা নিজেরাই চলে গিয়েছেন।


তৃণমূল পরিচালিত বেগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অনিরুদ্ধ মল্লিক জানিয়েছেন এরকম ঘটনা ঘটলে সেটা ঠিক হয়নি। গ্রামবাসীরা সমস্যায় পড়ে ত্রাণ শিবিরে এসেছিলেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাদের সবরকম সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন বাড়িতে জল থাকলে ফের তারা ওই স্কুলে উঠে আসতে পারেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খাওয়া থাকার ব্যবস্থা করা হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)