প্রসেনজিৎ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal/ Anubrata Mondal) সঙ্গে তাঁর বিরোধিতা সর্বজনবিদিত। দলের নির্দেশে অনুব্রতকে সভাপতি হিসেবে মানতে হলেও, তাঁদের সম্পর্ক ছিল 'আদায় কাঁচকলায়'। গোরুপাচার মামলায় (Cattle/Cow Smuggling Case) বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি গ্রেফতার হতেই এবার সক্রিয় সেই কাজল শেখ (Kajal Sekh)। জল্পনা বাড়িয়ে ফেসবুকে কটাক্ষমূলক পোস্ট করলেন নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা। সেই পোস্ট ঘিরে জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। কাজল শেখ কি বীরভূমের নতুন অনুব্রত মণ্ডল হয়ে উঠবেন? কান পাতলে এই চর্চাও শোনা যাচ্ছে। পোস্টটি শেয়ার করে আরও জল্পনা বাড়িয়েছেন বিজেপি নেতা তথা বীরভূমেরই প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিপিআইএম-এর ৩৪ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনতে যাঁরা সাহায্য করেছেন, তাঁদের মধ্যে কাজল শেখ অন্যতম। একসময় নানুর মানেই তৃণমূল নেতা কাজল শেখের নাম শোনা যেত। এই নেতাকেই ২০১৬ সালে অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী হিসেবে দেখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার হতেই ফেসবুকে কটাক্ষসূচক পোস্ট করেছেন কাজল শেখ। পোস্ট  নানুরের তৃণমূল নেতা লিখেছেন, “চেহারা, দাপট, অবস্থান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরস্থায়ী হয় না.... দুঃখের বিষয় অনেকেই এটা ভুলে যায়”। পোস্টের সঙ্গে শীর্ণকায় সিংহের ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি। এই পোস্ট ঘিরেই জল্পনা শুরু হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: গ্রেফতার অনুব্রত, বীরভূমের দায়িত্বে কি নতুন কেউ? দ্রুত সিদ্ধান্তের পথে তৃণমূল!


এই পোস্ট প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, "আমি ফেসবুকে পোস্ট প্রতিনিয়ত করে থাকি। ফেসবুকে পোস্টটা কোনও ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়। একজনের জন্য কোনও পোস্ট করা হয় না। যেমন আমার শরীরে এখন ক্ষমতা আছে, আমি যেন ক্ষমতাকে অপব্যবহার না করি। সেই শক্তি আমি সঠিক জায়গায় ব্যবহার করি। আমার যেমন গ্রামে দাপট আছে, সেটা যেন খারাপ হতে না দিই। এটাই আমি সকল শ্রেণীর মানুষকে বলতে চেয়েছি। আমি কোন ব্যক্তি বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বলতে চাইনি।" কাজল শেখের পোস্টটি শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি পাল্টা লিখেছেন, "ধৈর্য ধরো রবিনহুড, খেলা হবে !!!"।


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: 'লক্ষ্য করুন শুধু দিদির টিমের লোকগুলো গ্রেফতার হচ্ছেন ভাইপোর টিম ছাড়'



প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই-এর অফিসাররা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে পুরো বাড়ি আধাসেনা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর ভিতরে ঢোকেন অফিসাররা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। একই সঙ্গে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে বেজে দশ মিনিট নাগাদ বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ B ধারায় এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ৭,১০,১১ এবং ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিন প্রথমে আটক করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এরপর এসিএল হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গ্রেফতারির পর তাঁকে নিয়ে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। তাঁকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)