নিজস্ব প্রতিবেদন : একের পর এক কুপ্রস্তাবের অভিযোগে জড়িয়ে যাচ্ছে শিলিগুড়ির দাপুটে তৃণমূল নেতা রঞ্জন শীল শর্মার নাম। চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবারেই রঞ্জনের বিরূদ্ধে তাঁরই স্কুলের শিক্ষিকা কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ আনেন। এবার, অনাথ আশ্রমের কর্ণধারের কাছে মেয়ে আবাসিকদের বিষয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র পারিষদ রঞ্জন শীল শর্মার বিরূদ্ধে। অভিযোগ, অনাথ আশ্রমের মালিক সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আশ্রম বন্ধ করে দেওয়ারও চেষ্টা করেন রঞ্জন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা রঞ্জন। সেই ওয়ার্ডেরই চয়নপাড়ায় উত্তরবঙ্গ অনাথ আশ্রম চালান উমা মল্লিক। উমা মল্লিকের দাবি, ২০১৫ সালে পুরভোটে জয় লাভ করার পর এলাকায় উত্সবের আয়োজন করেন রঞ্জন শীল শর্মা। সেই সময়ে রঞ্জনের কাছে অনাথ আশ্রমের আবাসিকদের এক দিনের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন উমা মল্লিক। সেই সময়েই রঞ্জন তাঁকে আবাসিক মেয়েদের বিষয়ে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। উমা মল্লিকের অভিযোগ, ফোন করে আবাসিকদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করার বদলে আশ্রমের মেয়েদের বিষয়ে কুপ্রস্তাব দেন রঞ্জন। তারপরেই ফোন কেটে দেন উমা।


আরও পড়ুন: দিদিকে বলো-র প্রথম রিপোর্ট কার্ডেই 'লাল দাগ', 'ফাঁকিবাজ'দের দেওয়া হল কড়া নির্দেশ


উমা মল্লিকের কথায়, এর পরেই অনাথ আশ্রমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেন রঞ্জন। ঘটনার কয়েক দিন পরেই তত্কালীন তৃণমূল নেত্রী শিখা চ্যাটার্জীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে জলপাইগুড়ি সিডাব্লুসির সহযোগিতায় হঠাত্ই একদিন বিনা নোটিসে আশ্রমের সমস্ত মেয়েদের উঠিয়ে সরকারি হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। উমা মল্লিকের অভিযোগ, বিষয়টি রঞ্জনকে জানানো হলে তিনি উল্টে তাঁকে অনাথ আশ্রমের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। কয়েকদিন পরেই অবশ্য মেয়েদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। 


প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগেও স্কুলেই তাঁর কার্যকলাপের জন্য বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রঞ্জন শীল শর্মা। সে বার স্কুলের ডিআইয়ের মুখে থুথু ছেটানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।