মৌমিতা চক্রবর্তী:  'বারবার অবজ্ঞা। ঠিকমতো জিনিসটার প্রতি ধ্যান না দেওয়া। সকলের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। আমার কাজ করতে অসুবিধা হয়েছে।'  দলের নেতৃত্বের প্রতি এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী (Rathin Chakraborty)। ভোটের মুখে যতকাণ্ড হাওড়াতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাস দেড়েক বেসুরো থাকার পর শেষপর্যন্ত মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া (Baishali Dalmiya)। এই খবর যখন সম্প্রচারিত হয়, তখন আবার Zee ২৪ ঘণ্টায় ক্রসফায়ার অনুষ্ঠানে ছিলেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানেই প্রতিক্রিয়া দিলেন, 'আমি খুব খুশি হলাম। কংগ্রেস থেকে আসা লোকেদের কথা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী চলছেন। তৃণমূলে যাঁরা আছেন, তাঁদের চেয়ে অন্য দল থেকে আসা লোকেদের বেশি গুরুত্ব দেন। ভালো হল, আমাকে বিড়ম্বনায় ফেলা হল না। বলেছিলাম, দলের মধ্যে উইপোকারা পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেয় না, তাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি মানুষের এখানে জায়গা নেই। নেতাদের সঙ্গে আস্তে আস্তে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ভোটাররাও সরে যাবে। ভিতরের খবর তুলে ধরতে পারব। রাজীব বা অন্য কারও মতো ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হল না। মানুষের জন্যে কাজ করব, মানুষের পাশে থাকব।' 


আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে Mamata-র বিরুদ্ধে Suvendu? 'আমিই হারাব', হুঙ্কার শিশিরপুত্রের


এবার বেসুরো  হাওড়া পুরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী (Rathin Chakraborty)। Zee ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকার তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ,  'বহু ক্ষেত্রে এমনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে আমরা কাজ করতে না পারি। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে একাধিক বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। গত ২ বছর ধরে আমার সঙ্গে আলাদাভাবে কেউ যোগাযোগ করেনি। হাওড়ায় আমাদের একশো বছরের বাস। কোনও কথাও তো থাকতে পারে! তোমার কী কোনও কথা আছে? এটুকু জিজ্ঞেস করেও কেউ সৌজন্য দেখায়নি।'  তাঁর আক্ষেপ, 'হাওড়ায় আমরুতে প্রকল্প উদ্বোধন হল। একটা কার্ড দিয়েও তো নেমতন্ন করা যায় না!'  


আরও পড়ুন: TMC ভেঙে খানখান; দিদির অত্যাচারে দল ছেড়ে ভুল জায়গায় পা দেবেন না, রাজীবদের বার্তা অধীরের


উল্লেখ্য, এর আগে সাংসদ শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy) নিয়ে টানাপোড়েনে যেদিন ইতি পড়ে, সেদিনই Zee ২৪ ঘন্টাকে ফোনে দলের প্রতি অভিমানের কথা জানিয়েছিলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Banerjee)। বলেছিলেন, 'দলের সাংগঠনিক পরিবর্তনে কথা যদি কেউ ফোনে বা এসএমএসে জানাত, তাহলে গর্বিত হতাম।' এরপরই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রাক্তন ফুটবলারকে ফোন করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। কোথায় তাঁর সমস্যা, প্রসূনের কাছে জানতে চান সৌগত রায়। প্রসূনও মন খুলে কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। শেষপর্যন্ত সমস্যা মিটেও যায়। রবিবার হাওড়ার বিজেপির পাল্টা তৃণমূলের মিছিলে হাঁটতেও দেখা যায় সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।