June Malia: `গ্রুপবাজি বন্ধ করুন, নেতার বউ-বোনেরা পঞ্চায়েত প্রার্থী নয়`, হুঁশিয়ারি জুন মালিয়ার
ভরা সভায় দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়িক ও অভিনেত্রী জুন মালিয়া। তিনি জানান, পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারবেন না কোনও নেতার বউ, বোন, দিদিরা।
চম্পক দত্ত: দলের মধ্যে কোন্দলে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, 'আমাদের যে এমএলএ-রা আছেন। আশা করি নিজেদের মধ্যে কেউ ঝগড়াঝাঁটি করবেন না। যে ঝগড়াঝাঁটি করবেন, তাঁকে আমি পার্টিতে স্থান দেব না। আমাদের যাঁরা পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, পুরসভায় ও গ্রামে আছেন, কে বড় হনু? আমি না মানুষ? মানুষ না থাকলে আমি বিগ জিরো।' এদিন সেই পথে হেঁটেই মেদিনীপুরের নেতৃত্বদের কড়া বার্তা দিলেন বিধায়ক জুন মালিয়া। স্পষ্ট করে তিনি বলেন, "গ্রুপবাজি বন্ধ করুন! গ্রুপবাজি করলে আর স্থান হবে না তৃণমূলে।"
আরও পড়ুন, কে বড় হনু? ঝগড়াঝাঁটি করলে দলে জায়গা নেই: মমতা
ভরা সভায় দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়িক ও অভিনেত্রী জুন মালিয়া। তিনি জানান, পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারবেন না কোনও নেতার বউ, বোন, দিদিরা। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাবে না দলের নেতাদের বউ, বোনেরা। বউ ঘরে রান্না করবে আর নেতা বাইরে ছড়ি ঘোরাবে! এমনটা আর হবে না! বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়ায় তৃণমূলের এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন জুন মালিয়া। সেই সভায় দাঁড়িয়েই কার্যত হুঁশিয়ারির সুর মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়কের গলায়। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, নিজেদের মধ্যে কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না।
যদিও একইসঙ্গে বাড়ির বউ যদি যোগ্য প্রার্থী হয় তা হলে তাকে বঞ্চিত করা হবে না বলেও দাবি করেন জুন মালিয়া। তবে বিধায়কের এমন বক্তব্যের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন বিরোধীরা। এই নিয়ে জেলায় রাজনৈতিক চাপাউতর শুরু হয়েছে। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বিরোধী মন্তব্য করেন। জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার সঙ্গে জুন মালিয়ার অন্তর্কলহ সর্বজনবিদিত। তৃণমূল বিধায়িকের এমন বার্তার মধ্য দিয়ে আসলে কি জেলার সভাপতিকেই বার্তা দিলেন! প্রশ্ন জেলা বিজেপি মুখপাত্রের। একইসঙ্গে পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থী খুঁজে পাবে না বলেও দাবি করেছেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে দলের অন্তর্কলহ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। দলের ভেতরে থেকে বিরোধিতাকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না একথা কার্যত স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর জুন মালিয়ার এই বক্তব্য প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, তাহলে কি অন্তর্কলহই প্রধান কাঁটা শাসকদলের কাছে! পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা থেকেই কি এই হুঁশিয়ারি শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের মুখে?
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee:ভিআইপিদের গাড়িতে অস্ত্র আমদানি! বোমা ফাটালেন মমতা