নিজস্ব প্রতিবেদন: আউসগ্রামে নিহত অঞ্চল সভাপতির গ্রামে ড্যামেজ-কন্ট্রোল করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত গ্রাম ছাড়তে হল আউশগ্রামের তৃণমূল  বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারকে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বিল্বগ্রাম অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বল ব্যানার্জী খুনের চারদিন পরে গ্রামে গিয়েছিলেন বিধায়ক। এদিন  নিহত অঞ্চল সভাপতির বাড়ি ঢুকতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। 
বিধায়কের সামনে তৃণমূল ব্লক সভাপতি সেখ সালেক রহমান ওরফে টগর শেখের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন গ্রামবাসীরা। মাত্র মিনিট তিনেক থাকার পর গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান বিধায়ক। 
১৩ ই জুন রাতে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বিল্বগ্রাম অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বল  বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই রাতেই কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আজ ঘটনার চারদিন পর তার গ্রামে গিয়েছিলেন বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার। গ্রামে এসে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঘটনার পর গ্রামে আসেননি তৃণমূলের কোনো রাজ্য বা জেলাস্তরের নেতা। 


তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বোমায় উড়ে গেল মাথার খুলি, রায়নায় নিহত যুবক
ঘটনার দিন বনপাশ রেলগেটের পাশে চায়ের দোকানে কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে বসেছিলেন উজ্জ্বলবাবু। সেসময় বোমাবাজি শুরু হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধরে ব্যাপক মারধোর করা হয়। উজ্জ্বলবাবুর পা ও মাথায় আঘাত লাগে। মনা বাগ্দী নামে তার এক সঙ্গীও জখম হয়। রাতে দু'জনকেই   বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উজ্জ্বল  বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতার এসএসকেএম রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে ডানকুনির কাছে মৃত্যু হয় উজ্জ্বলবাবুর।