নিজস্ব প্রতিবেদন: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে এখনও পর্যন্ত কার্তিক মণ্ডল ও সুজিত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্দেহের তির এক পড়শি অভিজিত্ পুন্ডারির দিকেও। গোটা ঘটনার পেছনে বিজেপির ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। এনিয়ে মুকুল রায় সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিধায়ক খুন কাণ্ডে গ্রেফতার দুই, চলছে ম্যারাথন জেরা


এদিকে, এই ঘটনার পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল। প্রার্থ চট্টোপাধ্যায় সরাসরি বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘মতুয়া সংগঠন করতো সত্যজিত্। যতেষ্ট জনপ্রিয় ছিল। জেলার দাপুটে নেতা হিসেবে ওর পরিচিতি ছিল। এটি একটি সংঘটিত খুন। এর পেছনে রয়েছে বিজেপিই। সত্যজিতকে সরিয়ে ফেলাই চিল টার্গেট। সীমান্ত এলাকায় দুষ্কৃতী ঢোকাচ্ছে বিজেপি। মতুয়াদের সংগঠক এই যুব নেতাকে তাই খুন হতে হল।‘  অন্যদিকে, মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর বলেন, মতুয়া ভোটের জন্য মুকুল রায় ক্রিমিন্যাল ভাড়া করে খুন করিয়েছে।


স্থানীয় বাসীন্দাদের বক্তব্য, এলাকায় মতুয়াদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন সত্যজিত্ বিশ্বাস। এই বিধানসভায় মতুয়া ভোট একটি বড় নির্ণায়ক শক্তি বলেই মনে করা হয়। তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য মতুয়াদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়েই শেষপর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হয় সত্যজিতকে। এনিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর একটা চাপা সংঘাত ছিল। তবে বিজেপির দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই খুন হয়েছেন বিধায়ক সত্যজিত্।


আরও পড়ুন-আট ঘন্টায় সাতবার লোড শেডিং! ছক কষেই খুন বিধায়ককে?


জেলার তৃণমূল নেতা শঙ্কর সিংয়ের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা জেলার নজিরবিহীন। এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিরোধীরাই। প্রশাসন আততায়ীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনের আগে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিরোধীরা।


উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হন সত্যজিত্। ২০১৬ সালে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে বিধায়ক হন তিনি। গতকাল শনিবার ভর সন্ধেয় মাজদিয়ার ফুলবাড়ি এলাকায় সরস্বতী পুজোর এক অনুষ্ঠানে যান সত্যজিত। সেখানেই তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।