`মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে গদ্দারির উত্তর মানুষ দেবে`, নাম না করে শুভেন্দুকে বিঁধলেন কল্য়াণ
`মানুষ কিছু ভোলে না, মনে রাখে... কনট্রাক্টর দিয়ে হোর্ডিং লাগিয়ে দিতে পারি, তাতেও কিছু হবে না।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শ্রীরামপুর গান্ধী ময়দানে তৃণমূল কর্মী সম্মেলনে নাম না করে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারীকে।
এদিন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অনেকে প্রশ্ন করছে, অমুক চলে গিয়েছে, তমুক চলে গিয়েছে, যাক না। কিচ্ছু এসে যায় না। শুধু নজর রাখুন, যাঁরা দলের মধ্যে থেকে দিনের বেলা তৃণমূল আর রাতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে, তাঁদের ছাড়বেন না। গোপনে যাঁরা আঁতাত করবেন, তাঁদের ছাড়বেন না। একটাই ফ্লেক্স থাকবে, যাতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে। আর আমরা দিদির সৈনিক। অনেকে অনেক কৃতিত্ব দাবি করছেন, তাতে কোনও আপত্তি নেই। ভবিষ্যৎ নিশ্চই সব উত্তর দেবে।"
আরও বলেন, "মানুষ কিছু ভোলে না, মনে রাখে। কে কার জন্য এগিয়েছে, কে কোথায় বেনিফিট পেয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে গদ্দারি করছে, মানুষ কিন্তু তার উত্তর দিয়ে দেবে। আমি রামকৃষ্ণ না স্বামী বিবেকানন্দ না ক্ষুদিরাম বলে নিজেকে জাহির করলাম, তাতে কিছু হয় না। আমার হয়ত ৫০০ কোটি, হাজার কোটি টাকা আছে, কনট্রাক্টর দিয়ে হোর্ডিং লাগিয়ে দিতে পারি, তাতেও কিছু হবে না।" পাশাপাশি, এদিন তিনি আরও কটাক্ষ করেন, যাঁরা সারদা-নারদাতে অভিযুক্ত, তাঁরা বিজেপিতে গেলে কি গঙ্গাজলে পবিত্র হয়ে যাবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন যখন ফের আক্রমণ শানাচ্ছেন, তখন ওদিকে মহিষাদলে সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর এটাই তাঁর প্রথম সভা। অরাজনৈতিক ব্যানারে তাঁর এই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সবমহলই।
(এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুভেন্দুর শিবিরের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।)