নিজস্ব প্রতিবেদন: কখনও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে 'দালাল', কখনও বিরোধী সাংসদকে 'তুই-তোকারি'! রবিবার হুগলির চাঁপাদানীপুরে রক্তদান শিবিরে এসে জোর বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের রাজ্যপাল হলেন বিজেপির সবথেকে বড় দালাল। এমন একটা দিন আসছে সে দিন জগদীপ ধনখড়কে বলতে হবে "ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি"। এই ভাষায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে বিঁধলেন শ্রীরামপুর লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন রাজ্যপালকে "ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি" বলতে হবে? তাঁর যুক্তিও দিয়েছেন কল্য়াণবাবু। তাঁর কথায়, " ২০২১-এ মে মাসে রাজ্যে যে দিন আবার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সে দিন রুমাল দিয়ে চোখ মুছে বাড়ি যেতে হবে রাজ্যপালকে।"


রাজ্যপালের পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কার্যত 'তুই-তোকারি' ভাষায় তোপ দাগলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপের ঘনঘন শ্রীরামপুরে আসা নিয়ে কল্যাণ বলেন, "সিআইএসএফ-এর কলো চেপে শ্রীরামপুরে আসছিস রাজনীতি করতে। সিআইএসএফের কোলে চেপে আসার থেকে বরং শাড়ি পরে আয়।" এখানেই ক্ষান্ত থাকেননি। সুর চড়িয়ে কল্যাণের হুঁশিয়ারি, "কী দেখবি, আয় দেখি কত বড় হিম্মত। কিচ্ছু দেখাতে পারবি না। আমরা ৩৪ বছর সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করে বাংলায় এসেছি। আমাদের লড়াই দীর্ঘ ছিলো, তারপর আমরা এই জায়গায় এসেছি। আমরা এমনি আসিনি।"


আরও পড়ুন- ভরা বাজারে পয়েন্ট রেঞ্জ থেকে গুলি! মৃত্যু নিশ্চিত্ করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপালো দুষ্কৃতীরা


কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দিলীপ, মুকুল, তথাগত আরও কত সব নাম নিয়ে আসছে তাঁরা নাকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে! একুশে ১৮ খানাও জুটবে না। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীই হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৭ মাসে করোনা থেকে আমফানে যা কাজ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী-দিদি নন, মাতৃসম জায়গায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।