করোনায় হার মানলেন তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের
সোমবার থেকেই বেশ অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল হার্টবিট এবং পালস রেট। কোনভাবেই শরীরে রক্তচাপ বাড়িয়ে স্বাভাবিক করা যাচ্ছিল না
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রয়াত হলেন তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। বুধবার সকাল আটটা নাগাদ ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কালীঘাটের বাসিন্দা তমোনাশ মাসখানেক আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে গত ২৩ মে ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ।
প্রথম থেকেই তমোনাশের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। টানা ২৪ দিন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়। এরপর ফুসফুস কাজ করা কার্যত বন্ধ করে দেয়। কৃত্রিম ভাবে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস চালানোর চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। পূর্ণমাত্রা ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়ে রেখেও গত দুই সপ্তাহ ধরে তাঁর শারীরিক কোনও উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। ফুসফুসের পর কিডনি, লিভার একে একে বিভিন্ন অঙ্গ অকেজ হয়ে পড়ে বলে জানান চিকিত্সকরা।
সোমবার থেকেই বেশ অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল হার্টবিট এবং পালস রেট। কোনভাবেই শরীরে রক্তচাপ বাড়িয়ে স্বাভাবিক করা যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার একেবারেই রক্তচাপ কমে যায়। সব মিলিয়ে অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে ওঠেন তৃণমূলের প্রবীন এই সদস্য। অবশেষে বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ লড়াইয়ে হার মানেন তিনি। মৃত্যুকাল তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
আরও পড়ুন- রাজ্যের সব হাসপাতালে ভর্তি নিতে হবে করোনা রোগী, অমান্য করলে বাতিল হতে পারে লাইসেন্স
তিন বারের বিধায়ক তথা ১৯৯৮ সাল থেকে দলের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা কেন্দ্রের বিধায়ক। তিন তিনবার তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন। তাঁর এই চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন,"৩৫ বছর দলের সঙ্গে ছিলেন। তিনি ছিলেন দল ও মানুষের প্রতি একনিষ্ঠ। তাঁর সমাজসেবায় অনেক অবদান রয়েছে।" এই ঘটনায় শোক প্রকাশ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী তাঁর শোকবার্তায় জানান, তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের মৃত্যু তাঁকে শোকাহত করেছে। এভাবে চলে যাওয়াটা মানতে পারছেন না। কোরোনা সমস্ত মানবজাতির বিপদ। সকলকে সাবধানে চলার পরামর্শ দিল ওনার অকালে চলে যাওয়া এই মৃত্যু।