নিজস্ব প্রতিবেদন : জলজ্যান্ত ব্যাক্তিগুলিই পঞ্চায়েত দফতরের খাতায় কলমে হয়ে গেল মৃত! সধবা স্ত্রীকে বিধবা বানিয়ে দিলেন 'বিধবা'! তারপর সরকারি প্রকল্পের আওতায় ১ লাখি বাড়িও তৈরি করে দিলেন। স্বজনপোষণের এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে হুগলীর চুঁচুড়া-মগরা ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির বিগত বোর্ডের তৃণমূল সদস্য শেখ জাহিরুদ্দিন ওরফে উলুবাবুর বিরুদ্ধে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, বিবাহিত 'দিদি'র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক 'ভাই'-এর! তারপরের ঘটনা ডেকে আনল যুবকের মর্মান্তিক পরিণতি


চুঁচুড়া-মগরা ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির বিগত বোর্ডের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন উলুবাবু। অভিযোগ, সেইসময়ই সাহাগঞ্জ ঈশ্বরবাগ এলাকায় স্বজনপোষণের এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। এর আগেও উলুবাবুর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অকাট্য প্রমাণের অভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু এবার একেবারে হাতেনাতে স্বজনপোষণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন, দীপাবলির আগেই অন্ধকার নেমে এল তিনসুকিয়ায়, দুঃখপ্রকাশ মমতার


অভিযোগ, উলুবাবু ৩ সধবা মহিলাকে কাগজে কলমে 'বিধবা' বানিয়ে দেন। তারপর সংখ্যালঘু বিভাগের আওতায় প্রত্যেককে সরকারি প্রকল্পের বাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা অনিমা বক্স, হানুফা বিবি ও মারিয়ম বক্স প্রত্যেকেই সধবা। তাঁদের স্বামী শেখ রহিম, শেখ আজিজুল ও শেখ হায়াত বক্স জীবিত রয়েছেন। অথচ পঞ্চায়েত দফতরের খাতায় কলমে এদের ৩ জনকেই 'মৃত' দেখানো হয়েছে। কারচুপি করে এরপরই ওই ৩ মহিলার নামে সংখ্যালঘু প্রকল্পের আওতায় তৈরি হয়েছে বাড়ি।


আরও পড়ুন, নাগরিকপঞ্জি উস্কানি দিয়েছে জঙ্গিদের, তিনসুকিয়া হত্যাকাণ্ডে তোপ পার্থর


১ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদানের বাড়ি কারোর সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আবার কারোও বাড়ি নির্মীয়মাণ। এই ঘটনায় উলুবাবুর বিরুদ্ধে কোমর বেঁধেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। একজোট হয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরাও। দলীয় স্তর থেকে সরকারি স্তরে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।