কিরণকুমার মান্না: "মেরে একদম পাট গুছিয়ে দিবো। কত বড় মন্ত্রী, কত বড় নেতা হয়েছে কাঁথি শহরে, সব দেখে নেব। মন্ত্রীর কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও। পুলিশের দালালি মানছি না, মানবো না..." না এই স্লোগান বিরোধীদের দেওয়া হয়। বরং রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই স্লোগান দিতে দেখা গেল তৃণমূলেরই একাংশকে। শনিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির সাধারণ মানুষ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর শহরে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দন্দল প্রকাশ্যে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কারামন্ত্রী অখিল গিরি এবং কাঁথি থানার আইসির বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করল তৃণমূলের একাংশ। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল রিনা দাস, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাধিপতি মাহমুদ হোসেন, ডিপিএসসির চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূল নেতা হাবিবুর রহমান প্রমুখরা। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বিজেপিকে বোর্ড গঠন করতে সহযোগিতা করা হয়েছে, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে। নানাবিধ অভিযোগ তোলা হয় কারামন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে। এছাড়াও অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরির বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় কাঁথি শহর সরগরম হয়ে ওঠে। জনম মঙ্গল সমবায় সমিতির কমিটি গঠন নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। রীতিমতো পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান তৃণমূলের ওই বিক্ষোভকারীরা। তবে এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি মন্ত্রী অখিল গিরি এবং তাঁর পুত্র তথা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি।


বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কারামন্ত্রী অখিল গিরি তাঁর নিজস্ব প্যাডে শুভেন্দুঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্রনাথ জানার ব্যাংক নমিনির জন্য সুপারিশ করেছেন। সমিতির মাদার ব্যাংক কাঁথির বলাগাড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কাছে এই সুপারিশ করা হয়েছে। এতে মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে। পুলিসকে ঢাল করেছেন অখিল গিরিরা। বিজেপির দাবি, বিক্ষোভকারীরা যা বলছেন সেগুলো তাঁদেরই কথা। এতদিন একই অভিযোগ তাঁরাও করেছে। তবে বিজেপির বোর্ড গঠনে তৃণমূলের মন্ত্রীর সঙ্গে আতাঁত নেই বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)