নিজস্ব প্রতিবেদন: হুগলিতে খারাপ ফলের জের। জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ খোয়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে কাটমানি নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও। দিন কয়েক তাঁর বাড়ির বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ করেছিল বিজেপি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হুগলিতে দলের কাজকর্ম নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকেই স্পষ্ট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি লোকসভা আসনটি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। সিঙ্গুর আন্দোলনের জমিতেই রাজ্যে পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সিঙ্গুরেই পিছিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। আরামবাগ কেন্দ্রেও অল্পের ব্যবধানে আসনটি ধরে রাখতে পেরেছে ঘাসফুল। দলের খারাপ পারফরম্যান্সের সঙ্গে কৃষি বিপণন মন্ত্রী তথা হুগলির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে উঠেছে কাটমানির অভিযোগ। নির্বাচনের পর হুগলির জেলায় একটি কমিটি গড়েছিলেন দলনেত্রী। ওই কমিটিতে ছিলেন জেলা সভাপতি। তখন মনে করা হচ্ছিল, এযাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন তপন দাশগুপ্ত। তবে শেষ রক্ষা হল না। বুধবার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।



দিন কয়েক আগে চুঁচুড়ায় কৃষি বিপণন মন্ত্রীর বাড়ির বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেছিল বিজেপি। তার জেরে নিজের বাড়ি থেকেই বেরাতো পারেননি তপন দাশগুপ্ত। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, জেলার কাটমানির সিংহভাগই গিয়েছে সভাপতির পকেটে। এবার দলের কাছেও তপন দাশগুপ্তর বিরুদ্ধে জমা হচ্ছিল দুর্নীতির অভিযোগ। সেই অভিযোগের জেরে নেমে এল খাঁড়া।  


এর আগে কোচবিহারের পরাজয়ের ধাক্কায় জেলা সভাপতির পদ হারান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দলীয় রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ার পিছনে দায়ী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সব নেতাদের নিয়ে কাজ করেননি তিনি। দলের অন্দরেও তাঁর বিরুদ্ধে জমা হয়েছে অসন্তোষ। এমনকি নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে তৃণমূলের ভাবমূর্তিও নষ্ট করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। 


আরও পড়ুন- Exclusive: রাজ্য বিজেপিতে বেনো জলের তোড়ে বাঁধ দিলেন অমিত শাহ