নিজস্ব প্রতিবেদন:  দলের নিচুতলার জনপ্রতিনিধিরা আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাত্ করেছে- এই অভিযোগের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। নেত্রী আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এবার তাঁর একটা সিদ্ধান্তেই আজ স্পষ্ট দুঃস্থ মানুষদের সঙ্গে কোনও দুর্নীতির সঙ্গেই আপোস করে নেবেন না তিনি। নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার একসঙ্গে ২০০ জন তৃণমূল নেতাকে শোকজ করল তৃণমূল নেতৃত্ব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নন্দীগ্রাম- এই শব্দটা যেন মুখ্যমন্ত্রী তথা ত়ৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটা আবেগ। একদিন এখান থেকেই ৩৪ বছরের বাম দুর্গে আঘাত হানার শক্তি সঞ্চয় করেছিলেন নেত্রী, এখান থেকেই তাঁর উত্থান, এখান থেকেই প্রধান বিরোধী দলনেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উত্থানের গ্রাফচিত্র তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সেখান থেকে ওঠা অভিযোগে দলের ভাবাবেগে যাতে কোনও আঘাত না আসে, তার দিকে কড়া নজর রয়েছে সুপ্রিমোর।


আমফানে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে নন্দীগ্রামের ২২ জন নেতাকে শোকজ করল তৃণমূল। তাঁদের মধ্যে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সামসাবাদ, ভেকুটিয়া ও কেন্দামারি জলপাই পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধানদের শোকজ করা হয়েছে। অভিযোগ, এই সমস্ত তৃণমূলনেতারা তাঁদের পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২৯ জুন জেলা প্রশাসনের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানেই ফাঁস হয় তথ্য।

আরও পড়ুন: বন্ধু 'ধর্ষণ' করছে প্রাক্তন প্রেমিকাকে, তরুণীকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছানোর পথে আরও ঘৃণ্য আচরণ যুবকের!


দলের তরফে বলা হয়েছে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আর তা না হলে এফআইআর করা হবে বলে সূত্রের খবর। এপ্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মেঘনাথ পাল বলেন, "অভিযুক্তদের কোনও ছাড় নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।"
অন্যদিকে,   কালিয়াচক ২নং ব্লকের মোথাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা টিঙ্কু রহমান বিশ্বাসকে শোকজ করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর সম্প্রতি শোকজের চিঠি দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছ থেকে জবাবদিহি চেয়েছেন।