নিজস্ব প্রতিবেদন: এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত! নারদা মামলায় রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,  সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে গ্রেফতার করল সিবিআই। কলকাতায় নিজাম প্য়ালেসের সামনে যখন তুলকালাম কাণ্ড চলল, তখন বিক্ষোভের আঁচ জড়িয়ে পড়ল রাজ্যের সর্বত্রই। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নারদাকাণ্ডে গ্রেফতার দলের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ক। প্রতিবাদে ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। স্লোগান উঠল নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের বিরুদ্ধেও। এই অবরোধের জেরে তীব্র যানজটে নাকাল হন নিত্য়যাত্রীরা। শেষপর্যন্ত পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস।


আরও পড়ুন: Lockdown লঙ্ঘন করবেন না, আইন মেনে চলুন, কর্মীদের তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা Abhishek-র


একুশের ভোটে কামারহাটি থেকে ফের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। নারদাকাণ্ডে মদন মিত্রের গ্রেফতারির প্রতিবাদে কামারহাটির রথতলায় পথ অবরোধ করলেন তৃণমূলকর্মীরা। রাস্তায় রীতিমতো শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। একই ছবি কোন্নগরেও। জিটি রোড অবরোধ করে চলল বিক্ষোভ।


পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডেও বিক্ষোভ তৃণমূলের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নারদাকাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়-সহ আরও অনেকেই অভিযুক্ত। অথচ পরিকল্পনামাফিক শুধুমাত্র তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মেদিনীপুর সদর ব্লকেও এলাহীগঞ্জ এলাকায় অবরোধ করা হয় মেদিনীপুর-কেশপুর রাজ্য সড়কও।  


আরও পড়ুন: মুকুল-শুভেন্দুকে গ্রেফতার নয় কেন! রাজ্যপালকে 'পাগলা কুকুর'-এর সঙ্গে তুলনা কল্যাণের


বাঁকুড়া বড়জোড়ায় আবার সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পথে নামেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। স্থানীয় চৌরাস্তা মোড়ে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানে কালনায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের নেতৃত্বে পালিত হল প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি। তবে, কোভিড বিধি মেনে এই কর্মসূচিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা ছিল কম। 


বাদ যায়নি হুগলির আরামবাগও। কলকাতাগামী রাজ্য সড়কের গৌরহাটি মোড়ে অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। পথ অবরোধ করা হয় আসানসোল ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্য়ানিং-এও।