চম্পক দত্ত: বিজেপির হাত থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ টি আসনের মধ্যে নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপির দখলে যায় ৮ টি। তৃণমূলের দখলে যায় ৭টি। বহু টালবাহানার পরে গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন তৃণমূলের পতাকা ধরল এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য। ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসবাড় বুথের বিজেপির জয়ী প্রার্থী রমা মন্ডল যোগদান করলেন তৃণমূলে। আর যার ফলে আসন সংখ্যার নিরিখে চালকের আসনে চলে এল তৃণমূল। কারণ এই যোগদানের ফলে পুরো উলটে গেল হিসেব। তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮। আর বিজেপির জয়ী সদস্যের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৭। ফলে পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস।


বিজেপি থেকে আসা রমা মণ্ডলের হাতে এদিন তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিষ হুদাইত। উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শংকর দলুই সহ জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বরা।
 উল্লেখ্য, কদিন আগেই পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঝালদা পুরসভার বোর্ড হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। কয়েকদিন আগে ৪ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। যারপরই ঝালদা পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। 


প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশেই ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে। কিন্তু সেই বোর্ড গঠনের কয়েক মাস পর থেকেই আবার নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়। দলত্যাগী কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের তৃণমূলে যোগদানের ফলে ঘাসফুল শিবিরের কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০। আর কংগ্রেসের কাউন্সিলর সংখ্যা কমে হয় ২। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই বোর্ড হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের। যারপরই ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন পূর্ণিমা কান্দু। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।


আরও পড়ুন, Viswa Bharati: প্রাক্তনীরা জঞ্জাল! স্বীকৃতির পরদিনই ফের বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)