আদালতের রায়ে কি বীরভূমে উল্টে যেতে পারে পঞ্চায়েত `ভোটের ফল`?
বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনেই কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বামেদের ই-মনোনয়নের দাবিকে বৈধতা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৩ এপ্রিল বেলা ৩টে পর্যন্ত যেসকল প্রার্থীরা ইমেলে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তাঁদের আবেদন গ্রহণ করার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সমাদ্দার। আর এই রায়ের ফলেই মুখের হাসি মিলিয়ে যেতে বসেছে অনুব্রত মণ্ডলের।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত নিরাপত্তায় অখুশি আদালত, চূড়ান্ত রায় বৃহস্পতিবার
সিপিএমের বীরভূম জেলা সভাপতি রামচন্দ্র ডোম এদিন দাবি করেন, ২৩ এপ্রিল বেলা ৩টের আগেই বীরভূম জেলা পরিষদের ২০টি, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৩২টি ও পঞ্চায়েত সমিতির ৩২টি আসনে ইমেলের মাধ্যমে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বাম প্রার্থীরা। এখন হাইকোর্টের রায়ের পর এই সবগুলি ই-মনোনয়নকেই গ্রাহ্য করতে হবে কমিশনকে। তাই কোনওভাবেই আর বীরভূম জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয় কার্যকর হতে পারে না। তৃণমূল কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণিত নয়।
আরও পড়ুন, আবার ছাপাতে হবে লক্ষ লক্ষ ব্যালট, ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে আরও জটিল হল অঙ্ক!
যদিও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, তাদেরকে জয়ের শংসাপত্র দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন-ই। তাই এই ভোটের ফল খারিজ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনেই কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।