নিজস্ব প্রতিবেদন : উপনির্বাচনে ৪টি আসনেই পর্যুদস্ত হওয়ার পর ফের বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। অনাস্থায় হেরে পঞ্চায়েত বোর্ড হারাল পদ্মশিবির। বিজেপির হাত থেকে মালবাজারের চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরাকাটা ব্লকের চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান ববিতা কাছুয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা এনেছিলেন ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য। আজ সেই অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির পর নয়া প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন তৃণমূলের রন্থি তিরকি। প্রসঙ্গত, ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে চা বাগান ঘেরা চম্পাগুড়িতে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। মোট ২৫ সদস্যে চম্পাগুড়ি পঞ্চায়েতে বিজেপি জেতে ১৬টি আসন। বাকি ৯ টি আসন তৃণমূলের ঝুলিতে যায়। কিন্তু সম্প্রতি বিজেপি চালিত বোর্ড কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করছে না, এই অভিযোগে গেরুয়া শিবিরের ৭ নির্বাচিত সদস্য দলবদল করে শাসকদলে নাম লেখান। 


এই 'যোগ-বিয়োগ'-এর ফলেই পাশা উল্টে যায়। তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ১৬। অন্যদিকে বিজেপির নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা নেমে আসে ৯-এ। এরপরই তৃণমূলের ১৬ জন সদস্য প্রশাসনের কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে চিঠি দেয়। আজ ছিল ভোটাভুটি। তাতে প্রধান পদের জন্য তৃণমূলের রন্থি তিরকি ও বিজেপির সাবিনা লাকড়ার মধ্যে লড়াই হয়। স্বাভাবিকভাবেই ১৬ জনের সমর্থন নিয়ে ভোটাভুটিতে জেতেন রন্থি তিরকি।  


আরও পড়ুন, Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু, ৫ দিনের জ্বরে প্রাণ হারালেন বাগুইআটির গৃহবধূ


ভোটাভুটির পর সদ্য নির্বাচিত প্রধান রন্থি তিরকি জানিয়েছেন, "উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও রং দেখা হবে না। সবাইকে সাথে নিয়ে চলতে চাই।" অন্যদিকে বিদায়ী প্রধান ববিতা কাছুয়া বলেন, "উন্নয়নের কাজে চম্পাগুড়ি পঞ্চায়েত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। বিরোধী হিসেবেও সদর্থক ভৃমিকা-ই পালন করে যাব।" এদিন পঞ্চায়েত বোর্ডের দখল নেওয়ার পর বিজয়োচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। আর বিজেপি-র জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভুজেল বলেন, "আমাদের বোর্ডের মাধ্যমে এখানে নজরকাড়া উন্নয়ন হয়েছে। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কয়েকজন দল ছাড়ে। তাতে পরোয়া নেই। আমরা মানুষকে সাথে নিয়ে চলব।"


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)