কিরণ মান্না: বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে সরব হয়েছেন রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। দলে তাঁর কোনও স্টেটাস নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাপস। এবার সেই বিজয় সম্মিলনীর আমন্ত্রণের কার্ডে বিধায়কের নাম না থাকায় প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা। দলের নেতা কুণাল ঘোষ ও সোহম চক্রবর্তীর সামনেই তুলকালাম করেন তৃণমূল কর্মীরা। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে ওইসব কর্মীদের তাদের থামাতে হিমশিম খেয়ে যান কুণাল-সোহম। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই ঘটনায় এবার জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলও প্রকাশ্যে চলে এল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Tapas Chatterjee: 'দলে আমি চাকরশ্রেণির', মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে বিস্ফোরক অভিমানী তাপস


ভগবানপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের কার্ডে নাম রাখা হয়নি এগরার বিধায়ক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির। সেই ঘটনবাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ ফেটে পড়েন তাঁর অনুগামীরা।  


অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিলেন কুণাল ঘোষ ও এলাকার বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। সেইসময় প্রবল বিক্ষোভে দেখান তরুণ মাইতির অনুগামীরা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য ভগবানপুরে যে বিজয়া সম্মিলনী হচ্ছে সেখানে যে কার্ড ছাপা হয়েছে সেখানে জেলা সভাপতির নামই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য জেলার চেয়ারম্যানকে সাসপেন্ড করতে হবে। গোলমাল শুরু হতেই মঞ্চ থেকে নেমে এসে ক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুণাল ঘোষ ও সোহম চক্রবর্তী। 


শুধু কার্ড বিধায়কের নাম না থাকাতেই এই বিক্ষোভ নাকি পেছনে রয়েছে অন্যকিছু? জেলা রাজনৈতিক মহলের দাবি, ভগবানপুরে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী রয়েছে তাদের মধ্যে এই গোলমাল। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি একদল কার্ড পেয়ে আনন্দ করছে। আর অন্য দল তা থেকে বঞ্চিত। এই সমস্যার সমাধান হোক।  গোটা পরিস্থিতি কোনওক্রমে সামাল দেন কুণাল ও সোহম। পাশাপাশি এনিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন তাঁরা।


এদিকে, দলের বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে আজ সরব হয়েছেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। এনিয়ে তিনি বলেন,  'আমি খুবই মর্মাহত, গতবারও আমাকে জানানো হয়নি। দু'বছর ধরেই দলে আমার কোনও স্টেটাস নেই। ২ বছর ধরে আমায় বিজয়া সম্মিলনীতে ডাকা হয় না। দলে একটা চাকরশ্রেণি আর আরেকটা বাবুশ্রেণি। দলে আমার স্টেটাসটা চাকরশ্রেণির। চাকরদের সম্মান জানিয়ে বলছি, আমি চিরকাল শ্রমজীবী মানুষদের হয়ে লড়াই করেছি। যাঁরা ২০২১-এ সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন করেছিলেন। দিদিকে বেগম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন। তাঁরা নানান কারণে স্থান পেয়ে যান। স্থান পান না আমার মত লোকেরা। একুশের বিধানসভা ভোটে আমি ৫৬ হাজার ভোটে জিতি। নিউটাউনের ইতিহাসে কেউ কখনও এত ভোটে জিততে পারেনি। ৩৯ বছর ধরে আমি রাজারহাটে জনপ্রতিনিধিত্ব করছি। ৪৬ বছর হয়ে গেল আমার রাজনীতিতে। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি সম্মানটাই চাই। কিন্তু আমার কোনও কথা বলার সুযোগ নেই। কীভাবে কথা বলতে হয় দলে, আমার জানা নেই।'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)