নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে 'বহিরাগত'কে প্রার্থী না করার দাবিতে পোস্টার পড়েছিল এলাকায়। বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে (Baishali Dalmiya) দল থেকে বহিষ্কারের খবর পেয়ে এবার বালিতে রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে চলল মিষ্টিমুখ। যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাস মিশ্রের দাবি, বিধায়ককে আরও আগে বহিষ্কার করা উচিত ছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উস্কে দিয়েছিলেন বৈশালী ডালমিয়া (Baishali Dalmiya)। Zee ২৪ ঘণ্টায় বলেছিলেন, 'তৃণমূলস্তরের একাংশ দলটাকে উইপোকার মতো কুরে কুরে খাচ্ছে। পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নতুন কর্মীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। হাওড়ায় বিধায়ককে অপমান করা হয়। সাংসদকে মানে না। এই কয়েকজন মানুষ দলটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।' শুভেন্দু অধিকারীকে মীরজাফর বলা নিয়েও আপত্তি করেন বৈশালি। তাঁর অভিমত,'শুভেন্দু দা দলে সম্মান পেতেন। দল ছাড়তেই বেইমান, জোচ্চোর হয়ে গেল!' তারও আগে বহিরাগত ইস্যুতে তিনি বলেছিলেন, 'এরা হামেশাই বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বহিরাগত। বাইরে থেকে কেউ আসলে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ভারত একটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান।' 


আরও পড়ুন: TMC ভেঙে খানখান; দিদির অত্যাচারে দল ছেড়ে ভুল জায়গায় পা দেবেন না, রাজীবদের বার্তা অধীরের


তৃণমূলের টিকিটে জিতে মোদীর গুণগান! বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার (Baishali Dalmiya) আচরণে ক্ষুদ্ধ ছিলেন দলের স্থানীয় কর্মীরা। যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাস মিশ্র অভিযোগ, 'দলে থেকেও দলের কোনও কাজই করতেন না বৈশালী। দলের বিরুদ্ধে, দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলতেন।' ওই তৃণমূল নেতা স্পষ্টতই বললেন,  'তৃণমূলের টিকিটে জিতে প্রধানমন্ত্রীকে বলছে পরিবারের প্রধান! দলের কর্মীরা এটা কখনও মেনে নেবেন? আমি বলেছিলাম, দলকে আমার সবটা জানিয়েছি এবং দল ঠিকই ব্যবস্থা নিয়েছে।'  সঙ্গে বিধায়ককে হুঁশিয়ারি, 'ক্ষমতা থাকে তো, বালিতে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে যান, যত ভোটে জিতেছেন, তার থেকে বেশি ভোটে হারাতে না পারলে, রাজনীতি ছেড়ে দেব।'


আরও পড়ুন: Exclusive: ' দলে কাজ করতে অসুবিধা হয়েছে', এবার বেসুরো Howrah-র প্রাক্তন মেয়র


এদিন দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকের পরই বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রস। এই খবর যখন সম্প্রচারিত হয়,  তখন Zee ২৪ ঘণ্টায় ক্রসফায়ার অনুষ্ঠানে ছিলেন বালির বিধায়ক। অনুষ্ঠান চলাকালীন তাঁকে খবরটি জানান ডেপুটি এডিটর মৌপিয়া নন্দী। ওই অনুষ্ঠানেই বৈশালী ডালমিয়া (Baishali Dalmiya) প্রতিক্রিয়া দেন, 'আমি খুব খুশি হলাম। কংগ্রেস থেকে আসা লোকেদের কথা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী চলছেন। তৃণমূলে যাঁরা আছেন, তাঁদের চেয়ে অন্য দল থেকে আসা লোকেদের বেশি গুরুত্ব দেন। ভাল হল, আমাকে বিড়ম্বনায় ফেলা হল না। বলেছিলাম, দলের মধ্যে উইপোকারা পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেয় না, তাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি মানুষের এখানে জায়গা নেই। নেতাদের সঙ্গে আস্তে আস্তে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ভোটাররাও সরে যাবে। ভিতরের খবর তুলে ধরতে পারব। রাজীব বা অন্য কারও মতো ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হল না। মানুষের জন্যে কাজ করব, মানুষের পাশে থাকব।'