ফেসবুক-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ! মার্ক জুকেরবার্গকে চিঠি তৃণমূলের
ফেসবুকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত দুটি লোকসভা নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুক-এর ভূমিকা নিয়ে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ উঠেছে পক্ষপাতের। এনিয়ে ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকেরবার্গকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৯ সালের বাজেট অধিবেশনে খোদ সংসদে বিষয়টির উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন-লাদাখে ফের ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ, লাল ফৌজের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ
উল্লেখ্য, তৃণমূলের অভিযোগ ছিল দলের নেতা ও সমর্থকদের ফেসবুকে পোস্টের রিচ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরকম পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ফেসবুকের মতো একটি প্লাটফর্মের কাছ থেকে কাম্য নয়। সূত্রের খবর গত ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় মমতার ভাষণের পর তৃণমূল নেতা ও সমর্থকদের বহু পোস্টের রিচ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরই গত ৩১ অগাস্ট মার্ক জুকেরবার্গকে চিঠি লেখেন ডেরেক।
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হতে কয়েক মাস বাকী। এই সময়ে বাংলায় বহু ফেসবুক পেজ ও অ্য়াকাউন্ট ব্লক করে দিচ্ছে। এর পেছনে ফেসবুকের সঙ্গে বিজেপির যোগসূত্র থাকতে পারে। ফেসবুকের বিরুদ্ধে এরকম গুরুতর অভিযোগ আগেও তোলা হয়। এবার ভারতে ফেসবুকের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক।
আরও পড়ুন-নিখোঁজ বেলঘরিয়ার NEET পরীক্ষার্থী, স্কুটি উদ্ধার মুর্শিবাদের বেলডাঙায়! অন্তর্ধান তদন্তে ধন্দে পুলিস
এদিকে, ফেসবুকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও। মঙ্গলবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, ফেসবুকের কর্মীরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করছে। কোম্পানির এক শ্রেণির কর্মচারীর পক্ষপাতের জন্যে গোটা প্লাটফর্মটির দুর্নাম হচ্ছে। কোনও একজনের পক্ষপাতের কারণে লাখ লাখ মানুষের বাক স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। ফেসবুকের উচিত দেশ অনুযায়ী তার নীতি নির্ধারণ করা। আমার কাছে অভিযোগ এসেছে ২০১৯ এর লোক সভা নির্বাচনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বহু ফেসবুক পেজ উড়িয়েই শুধু দেয়নি, বরং বহু পোস্টের রিচ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে বহু চিঠি লেখা হয়েছে কিন্তু তার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। কারও কোনও মতাদর্শের প্রতি আনুগত্য থাকতেই পারে কিন্তু তা প্রতিষ্টানের নীতির ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে না।