বিক্রম দাস: নিয়োগ দুর্নীতির নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে ফের ধাক্কা তৃণমূলে। চিটফান্ড মামলায় পুলিসের জালে খানাকুলের এক যুব তৃণমূল নেতা।  হুগলির খানাকুলের যুব তৃণমূল নেতা প্রবীর কুমার চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে ৯০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মাত্র ১ বছরে প্রায় দেড়শো মৃত্যুদণ্ড, শুধু মার্চেই ৮১! কোথায় ঘটল এমন কাণ্ড... 


ভারত কৃষি সমৃদ্ধি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি চিটফান্ড কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন প্রবীর কুমার চট্টোপাধ্যায়। তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। জানা যাচ্ছে হুগলি-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে ৯০ কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই প্রবীরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। তার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন প্রবীর। 


সিবিআইয়ের কাছে খবর ছিল আজ বাড়িতেই রয়েছেন প্রবীর। সেই খবরের ভিত্তিতে তার বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়। তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 


সিবিআই সূত্রে খবর, ওই ৯০ কোটি টাকা প্রবীর কাদের কাছ থেকে তুলেছে, সেই টাকা সে কী করেছে তা জানতে প্রবীরকে হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোনও প্রভাবশালীর কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন হুগলির আর এক যুব তৃণমূল নেতা। চাকরি দেওয়ার নাম করে তানি প্রায় ৩০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফচারের পর কুন্তল ঘোষকে নিয়ে অস্বস্তিতে দল। এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে। পার্থর গ্রেফতারের পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্ষদের আধিকারিকরা গ্রেফতার হয়েছেন। বিরোধীরা রোজই এনিয়ে চেপে ধরছিল তৃণমূলকে। এরকম এক পরিস্থিতিতে কুন্তল ঘোষের নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় প্রবল ক্ষিপ্ত দলের নেতারা।  তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষও বলেছেন কুন্তলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। তাঁর পাশে দাঁড়ানোর কোনও কারণ নেই। তিনি বড় মাপের কোনও নেতা নন। তিনি যে পোর্টফোলিও হোল্ড করেন তা চলে গেল তৃণমূলের ক্ষতি হবে না।  


কুন্তল ঘোষের বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে টেটের অ্যাডমিট কার্ড, OMR শিটের কয়েকশো প্রতিলিপি!কুন্তলের বাড়িতে টেট পরীক্ষার্থীদের নথি এল কীভাবে? ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় টেট। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ লক্ষের কাছাকাছি। তখনও কি সক্রিয় ছিল টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার চক্র? পরীক্ষার্থীরাও কি ভেবেছিলেন যে, এবারও টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া যাবে? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)