নিজস্ব প্রতিবেদন: বোমবাজি, ভাঙচুর ও গুলি- বীরভূমের পর এবার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনাস্থলেই এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু। আর একজনের পায়ে লেগেছে গুলি। তাঁর চিকিত্সা চলছে। আহত আরও তিন তৃণমূল কর্মী।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠী সংগঘর্ষ। সকালে বীরভূম, দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে চেহারা নিল ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি। জানা গিয়েছে, যুব ও তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে বিবাদ থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। দুপক্ষই একে অপরকে নিশানা করে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু। গুলি লেগে আহত আরও এক জন। আহত তিনজন।  


রবিবার ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা  শেখকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা যুব তৃণমূল। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ক্যানিংয়ের এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। গোলাবড়ি এলাকায় যুব তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই  মৃত্যু হয় মিজানুর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মী। আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই  দু'পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। রবিবার ব্যাপক আকার ধারণ করে। গোলাগুলি, বোমাবাজিতে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। ঘটনায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা পরেশ দাসের বিরুদ্ধে। গোলাবাড়ি পঞ্চায়েতে প্রধান খতিব সর্দারের দাবি, আগেই বুঝেছিলাম হামলা হতে পারে। পুলিসকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিস সময়ে আসেনি।


মৃতদেহ রাস্তায় রেখে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা । পরে এলাকায় পুলিস পৌছালে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান হয়।  পুলিশের একটি গাড়িকে ভাঙচুর করা হয়েছে। এরই মধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েক জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


সকালে কেষ্টর গড়ও উত্তপ্ত হয় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে। বীরভূমের সদাইপুরের তরুগরিহাট গ্রামে রবিবার সকাল থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলে ব্যাপক বোমাবাজি। 


আরও পড়ুন- রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল ৫৯ টাকা, ২.৮৯ টাকা বৃদ্ধি ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের