নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট এলেই চরিত্র বদলায় বাংলা। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। তা না হলে কি আর আষাঢ়ের রথ কার্তিকে চলে? এবার চলবে। রাজ্যে রথযাত্রার আয়োজন করছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, এই অগ্রহায়ণেই পাচন দাওয়াইয়ের কথা শুনিয়ে রাখলেন শাসক দলের নেতা। বাংলায় রাজনৈতিক সংস্কৃতি ঠিক এতটাই খামখেয়ালি! বলা ভাল, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসক দলের ব্রিগেড সভাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ঠিক তার চার দিনের মাথায় পাল্টা সভার ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তবে সেই সভা আরও পিছিয়ে যাবে বলেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে জল্পনা। জানা যাচ্ছে, জানুয়ারির একেবারে শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির একেবারে শুরুতে ওই সভা হবে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদী। এমন অবস্থায় সময় যত এগোচ্ছে ততই চাপানউতোর বাড়ছে দুই শিবিরেই।


আরও পড়ুন- ‘শুভেন্দুর জন্যই তৃণমূল আমাকে নিচ্ছে না’


বিজেপি যেমন একদিকে রথের রুট ম্যাপ তৈরিতে ব্যস্ত, তেমনই রাস্তা আটকাতে সারছে তৃণমূলও। এই আবহাওয়াতেই বাকযুদ্ধে ধুন্ধুমার বাঁধিয়ে দিলেন দুই শিবিরের দুই নেতৃত্ব। রথের চাকার সামনে আসলে পিষে মারা হবে, শাসককে হুঙ্কার বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। এবার পাল্টা পাচন দাওয়াইয়ের গান গেয়ে রাখলেন অনুব্রত মণ্ডল।


কী এই পাচন?


এটি এক ধরনের খাবার, মূলত শাকসব্জি দিয়েই তৈরি হয়। বিশেষত পাহাড়িরাই চৈত্র সংক্রান্তির দিন অতিথি আপ্যায়নের প্রধান আহার হিসেবে  পাচন খাইয়ে থাকেন। এই খাবার খেলে সহজেই রোগমুক্তি হয়, এমনটাই বিশ্বাস করেন পাহাড়িরা। এখন সেই বিরোধীদের সেই পাচন দাওয়াই-ই দিতে চাইছেন কেষ্ট। সঙ্গে আখও। মোটা মোটা আখের দাওয়াই।


আরও পড়ুন- রথের নামে বানানো হয়েছে পাঁচ তারা হোটেল, বিজেপিকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর


অতীতেও গুড়, বাতাসা খাইয়ে বিরোধী আপ্যায়নের কথা শোনা গিয়েছে এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার মুখে। এবার শীতে তাঁর অভিধানে জায়গা করে নিল পাচনও।