নিজস্ব প্রতিবেদন:  আজ ভোরেই দিঘাতে পৌঁছেছিলেন। হোটেল ব্যাগপত্র রেখেই চলে গিয়েছিলেন সমুদ্র সৈকতে। বন্ধুদের সঙ্গে জলকেলিতে মশগুল ওই ব্যক্তি আচমকাই অনুভব করলেন পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা। মুহূর্তে রক্তে লাল জল। দিঘায় স্নান করার সময়েই কোমরের নিচ থেকে কাটা গেল পা! আশঙ্কাজনক আরও এক পর্যটক। বৃহস্পতিবার দিঘায় ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সুপারি গাছের মাথায় চোখ যেতেই থমকে যাচ্ছেন পথচারীরা, দেখা মিলছে ‘তার’….


বৃহস্পতিবার সকালে দুটি বাসে করে ১১৪ জনের একটি দল দিঘায় আসেন। তাঁদের মধ্যেই বেশ কয়েকজন হলিডেহোম ঘাটে স্নান করছিলেন। সকলেই তখন আনন্দে মাতোয়ারা। কিন্তু আচমকাই তীব্র আর্তনাদে টনক নড়ে সকলের। কিন্তু তখনও কেউ আঁচ করতে পারেননি বিপদ এত বড়! কিছু বুঝে ওঠার আগেই সৈকতের কিছু অংশের জল লাল হয়ে যায়। জইমুদ্দিন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি তখন প্রায় সংজ্ঞাহীন। তাঁকে জল থেকে সৈকতে নিয়ে আসার পর বোঝা যায়, কোমরের নিচ থেকে তাঁর পা বাদ পড়েছে।



কিন্তু সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে কীভাবে পা কাটা গেল জইমুদ্দিনের? তা তখনও ধোঁয়াশা বাকি পর্যটকদের কাছে। কিছুক্ষণ পর দুর্ঘটনায় আহত আরও এক পর্যটকের বয়ানে উঠে আসে আসল সত্যি।



তিনি জানান, সমুদ্রে স্নান করার সময়ে আচমকাই একটি স্পিড বোড তাঁদের কাছ ঘেঁষে চলে যায়। স্পিড বোটের আঘাতেই পা কেটে বাদ পড়ে জইমুদ্দিনের। তাঁকে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্পিড বোটের তলায় লাগানো পাখাতেই পা কাটা গিয়েছে।


ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পর্যটকরা। অনভিজ্ঞ চালকদের নিয়োগ করে বোট চালানোয় এই দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ।