ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা হারাতে পারে ঐতিহ্যের টয় ট্রেন: ইউনেসকো
ওয়েব ডেস্ক: মোর্চার লাগাতার আন্দোলনে টয় ট্রেনের ব্যাপক ক্ষতি। পাহাড়ে বনধের জেরে বন্ধ টয় ট্রেন পরিষেবা। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা হারাতে পারে ঐতিহ্যের টয় ট্রেন। স্পষ্ট জানিয়ে দিল ইউনেসকো।
অশান্ত পাহাড়। অশান্তি থামার লক্ষণই নেই। সরকারি ভবন, থানা তো বটেই, তাণ্ডবের হাত থেকে রেহাই নেই হেরিটেজ তকমা পাওয়া দার্জিলিং টয় ট্রেনেরও। এর আগে ২০১০ সালে তিনধারিয়া ও পাগলাঝোরার ধস বহু জায়গায় লাইনের নিচের মাটি উধাও করে দিয়েছে। একসময় ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়নো ন্যারোগেজ লাইন জায়গায় জায়গায় ভেঙে যায়। আমূল সংস্কার না হলে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় ইউনেসকো। তার পরেই উদ্যোগী হয় রেল মন্ত্রক।
দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াঙের মধ্যে ৪টি ট্রেন এবং দার্জিলিং থেকে ঘুমের মধ্যে জয় রাইড চলতে শুরু করে। জয় রাইডের জন্য ৪টি ডিজেল ইঞ্জিন ও ৬টি স্টিম ইঞ্জিন চলতে শুরু করে। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙেও চলতে শুরু করে ১টি টয় ট্রেন।
স্টিমের ধোঁয়া, সবুজের কোল ঘেঁষে কু ঝিকঝিক আওয়াজের সঙ্গেই মিশে থাকে ঐতিহ্যের আবেগ। ভালবাসার টয় ট্রেন। ট্রেনের জানলা দিয়ে মুখ বাড়িতে বাতাসিয়া লুপের সৌন্দর্যে বিভোর হয়ে থাকা মন বার বার ছুটে যায় পাহাড়ে। সেই ভালবাসাই এবার সঙ্কটের মুখে।
আগে ধস। এখন আগুন। আঘাতের পর আঘাত টয় ট্রেনের বুকে। মোর্চার বনধের জেরে গত ৯ জুন থেকে দার্জিলিঙে বন্ধ টয় ট্রেন পরিষেবা। ইউনেসকো তাই স্পষ্ট জানিয়ে দিল, টয় ট্রেনের ক্ষতি মেনে নেওয়া যাবে না।
ইউনেসকোর দিল্লির অফিস থেকে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই রকম চলতে থাকলে ১৯৯৯ সালে পাওয়া ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা কেড়ে নেওয়া হতে পারে।
এবার তাহলে কী? পাহাড় পর্যটনের মানচিত্র থেকে কি চিরতরে হারিয়ে যাবে একটি ঐতিহ্য? পাহাড়ের কোলে ভালবাসার কু ঝিকঝিক শব্দটা কি শুধুই রয়ে যাবে গানে আর ছবিতে?