নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্ঘটনার জেরে মেইন লাইনে বন্ধ ট্রেন চলাচল। হাওড়া স্টেশনে উপচে পড়েছে ভিড়। হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে গন্তব্যে ফেরার আশায়। কর্ড লাইনের অবস্থাও তথৈবচ। ৮টা ২০ মিনিটের পর লোকাল মিলল সেই ৯.৪৮ মিনিটে। দৌড়ঝাঁপ করে ট্রেনে কোনওমতে উঠলেন যাত্রীরা। ভিড়ের ঠেলায় ট্রেনের ভিতরে দমবন্ধকর অবস্থা। বাতিল হল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন। বর্ধমান স্টেশন পর্যন্ত কাটিহার এক্সপ্রেসকে লোকাল করে দেয় রেল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃষ্টি-বাদলের দিনে ফোনের টাওয়ারও আসছে-যাচ্ছে। বাড়ির লোকও ফোনে পাচ্ছেন না। শনিবার সপ্তাহের শেষ দিনে হাওড়া স্টেশনজুড়ে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। স্টেশনে উপচে পড়েছে ভিড়। আশঙ্কিত চোখমুখ। চোখ চেয়ে রয়েছে রেলের ইলেকট্রিক বোর্ডের দিকে। বিকেলে শ্রীরামপুরে দুর্ঘটনার জেরে মেইন লাইনে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ। অনেকেই বাধ্য হয়ে ধরেছেন জিটি রোড। গাঁটের কড়ি খরচ করে ওলা-উবরও ধরেছেন। কিন্তু শহরতলি থেকে একটু দূরে যাঁদের বাড়ি, তাঁদের তো ট্রেন ছাড়া গতি নেই! 



বিকেলে শ্রীরামপুরে ঢোকার মুখে নিরীক্ষণ কারের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা আপ শেওড়াফুলি লোকালের। দুর্ঘটনার জেরে গুরুতর জখম হন কমপক্ষে ৯ জন যাত্রী। জানা গিয়েছে, একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসে। ইনসপেকশন কারের পিছনে চলে আসে শেওড়াফুলি লোকাল। ইনসপেকশন কারটি দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেওড়াফুলি লোকালটি থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন চালক। কিন্তু, তাতেও এড়ানো যায়নি দুর্ঘটনা। তবে, দুটির-ই গতি কম থাকায় বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। 


আরও পড়ুন- বাংলাই এবার ভারতে সরকার গড়বে, জি ২৪ ঘণ্টায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে প্রত্যয়ী মমতা


দুর্ঘটনার জেরে মেইন লাইনে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। এছাড়া বেশ কিছু এক্সপ্রেস ট্রেনও বাতিল করেছে রেল। সেগুলি হল-সম্বলপুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, মোকামো প্যাসেঞ্জার ও এলাহাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। কখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে তা জানা যায়নি।