নিজস্ব প্রতিবেদন : ইসলামপুর কাণ্ডের জেরে শিক্ষক বদলি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য শিক্ষা দফতর। আপাতত বাতিল করা হল শিক্ষক বদলির প্রক্রিয়া। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক বদলির উপর জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা। একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা দফতর স্পষ্ট জানিয়েছে, কারও কোনও বদলির আবেদন আপাতত গ্রাহ্য করা হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, পুজোয় ক্লাবগুলিকে সরকারি অনুদানে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের


প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ইস্যুকে কেন্দ্র করেই ছাত্র বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে। পড়ুয়াদের দাবি অমান্য করে উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসামপুরের দাড়িভিট স্কুল। ছাত্র-পুলিস সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। অভিযোগ, তারপরই গুলি চালায় পুলিস। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজেশ সরকারের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাপস বর্মণকে। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।


আরও পড়ুন, হারিয়ে গেছে ফাইল! ডিএ মামলার ফয়সলা ঝুলে রইল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত


এই ঘটনায় তুঙ্গে ওঠে শাসক-বিরোধী তরজা। নিহত ছাত্রদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বাম প্রতিনিধি দল। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ-অবরোধ করে বিজেপিও। যদিও পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছেন জেলা পুলিস সুপার। পুলিসের গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ-ই গ্রেফতার হয়নি।


আরও পড়ুন,পুজোয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য দারুণ 'উপহার' মুখ্যমন্ত্রীর


কিন্তু ইসলামপুরের ঘটনায় বিতর্ক এখনও কিছুমাত্র কমেনি। এই ঘটনায় বার বারই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সেই দাবি নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের বাবা  নীলকমল সরকার ও বাদল বর্মণ। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন সন্তানহারা দুই বাবা। নিহত ছাত্রদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।