তন্ময় প্রামাণিক


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেসরকারি বহু হাসপাতালে খরচের ডিসপ্লে বোর্ড নেই। স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশ না মানায় কমিশন স্বতঃপ্রনোদিত মামলা দায়ের করতেই নড়েচড়ে বসল শহরের নামী ৬ বেসরকারি হাসপাতাল।


কমিশনে হোয়াটস্যাপ মেসেজ করে দাবি, 'হাসপাতালে খরচের ডিসপ্লে বোর্ড আছে। হয়তো তা কেউ দেখতে পাননি।' শনিবার বিকেলের মধ্যেই একাধিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য কমিশনের হোয়াটস্যাপ-এ তথ্য দিয়ে দাবি করে, তাদের হাসপাতালে কোথায় সেই ধরনের বোর্ড রয়েছে।


আরও পড়ুন-সহজে ব্যবসার সুযোগের মাপকাঠিতে পূর্ব ভারতে সেরা বাংলা, মমতাকে সার্টিফিকেট মোদী সরকারের  


এই প্রসঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " সকলে বিষয়টি মেনে চলুন এটা আমরা চাই। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হাসপাতাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মারফত দাবি করা হয়েছে, তাদের হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট বোর্ড আছে। যেখানে হিসেব-নিকেশ খরচ খরচা ডিসপ্লে করা আছে। আমরা ২৫ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছি। সেই দিন সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের হাজির থাকতে বলা হয়েছে।" কমিশন সূত্রের খবর, হাসপাতালগুলির দাবিমত আদৌ ওই ধরনের কোনও বোর্ড আছে কিনা তা যাচাই করে দেখা হবে।


উল্লেখ্য, রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশ না মানায় শহরের ৬ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরায় কমিশন। শুক্রবার সেকথা জানায় কমিশন। কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্য কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, করোনা পর্বে চিকিৎসার জন্য আইসিইউ, ভেন্টিলেশনের ভাড়া কত, জেনারেল বেড বা অন্যান্য ক্ষেত্রে কত ভাড়া, কত খরচ, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোনটা কত খরচ, সবকিছু স্পষ্ট ভাবে হাসপাতালের সামনে ডিসপ্লে বোর্ডে লাগাতে হবে।


আরও পড়ুন-১২ সেপ্টেম্বর চালু হচ্ছে ৮০টি স্পেশাল ট্রেন, বাংলায় ২টি 


অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও কোন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের হাসপাতালের সামনে যেখানে সাধারন মানুষ বা রোগীর পরিজনরা দেখতে পাবেন এমন দৃশ্যমান জায়গায় ডিসপ্লে বোর্ড লাগায়নি। এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন। সে কথা কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয় শুক্রবারই।


এতেই নড়েচড়ে বসে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ। একাধিক হাসপাতালের দাবি, তাদের ওই ধরণের ডিসপ্লে বোর্ড আছে।  প্রশ্ন উঠছে, কোন জায়গায় ওই ডিসপ্লে বোর্ড "ডিসপ্লে" করা আছে যে কর্তৃপক্ষ ছাড়া আর কোনো রোগী বা রোগীর পরিজন বা সাধারণ কারোর নজরে আসে না!