নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের গণধর্ষণের অভিযোগ। এবার বীরভূমের মহম্মদবাজারে। অভিযোগ, বীরভূমের মহম্মদবাজারে এক বিধবা মহিলাকে ৫ জন মিলে গণধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহম্মদাবাজারের বোরাবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা ওই বিধবা মহিলা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গণধর্ষণের এই ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার। ঘটনার দিন ওই বিধবা মহিলা স্থানীয় কোনও এক পুজোয় যোগদানের পর রাতের বেলা মহম্মবাজার থানা এলাকার চরিচা জঙ্গলে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যান। সে সময় ওই জঙ্গলে জলপা হাঁসদা, কাটিজ হাঁসদা, ঢোকা বাসকে, লখিয়া হাঁসদা, তাম্বর বাসক নামে ৫ যুবক বসে মদ্যপান করছিলেন। অভিযোগ, বিধবা ওই মহিলা এবং তাঁর প্রেমিককে দেখতে পেয়ে তাঁদের আটকায় ওই মদ্যপ যুবকেরা। এরপর ওই মহিলার প্রেমিককে মারধর করা হয়। সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় ওই আদিবাসী মহিলাকে। ৫ মদ্যপ যুবক মিলে ওই বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ 


গত ১৮ তারিখে এই ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় শনিবার মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্য়েই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আজ ধৃতদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। পুলিসের পক্ষ থেকে ধৃতদের ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের চাওয়া হয়েছিল। যদিও বিচারক ৭ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে বাকি ৩ অভিযুক্ত পলাতক। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। 


পাশাপাশি, মঙ্গলবার ঘটনা ঘটলেও ওই মহিলা কেন অভিযোগ দায়ের করতে দেরি করলেন? কেন এই কদিনের মধ্যে কোনওরকম অভিযোগ দায়ের করলেন না? তাও খতিয়ে দেখছে মহম্মদবাজার থানার পুলিস। যদিও আদিবাসী এক নেতার দাবি, ওই মহিলা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল অভিযুক্তদের তরফে। এদিন সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নির্যাতিতা মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। 


 


আরও পড়ুন, টাকা দেওয়ার নামে ডেকে নিয়ে যায়, বাড়ির ২ মিটার দূরে মিলল ব্যক্তির গলাকাটা দেহ!