ওয়েব ডেস্ক: পাহাড়ে বিজেপির রাজ্যে সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিগ্রহ করার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি। পাল্টা হিসেবে এবার রাস্তায় নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় ও বিভিন্ন জেলায় বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার হাজরা, বেহালা, গড়িয়াহাট, গিরিশপার্ক, লালবাজার, কাঁকুরগাছি ও ধর্মতলায় বিক্ষোভে দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। হাওড়ায় বিক্ষোভ দেখানো হয় অরূপ রায়ের নেতৃত্বে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোলেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা।


এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার ‌যখন পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে তখন সেখানে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের নেতৃত্বে এসব হচ্ছে। ‌যে কোনও মূল্যে আমরা এই চেষ্টা প্রতিহত করব।


দুপুর একটা থেকে দুটো প‌র্যন্ত বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তৃণমূল। গতকাল বিজেপির বিক্ষোভে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। পাল্টা আজ মোদীর কুশপুতুল পোড়ায় তৃণমূল। গড়িয়াহাটে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। হাওড়া ব্রিজেও অবরোধ করা হয়।


বিক্ষোভ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ওরা ‌যতই হাঙ্গামা করবে ততই রাজ্যের মানুষের কাছে ওদের আসল রূপ প্রকাশ হয়ে পড়বে। তৃণমূলের জমি শক্ত হবে। বিজেপি বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‌যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিকে অপমান করা হচ্ছে তা বরদাস্ত করা হবে না।


গড়িয়াহাটে বিক্ষোভ কর্মসুচিতে অংশ নিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‌যে কোনও রাজনৈতিক দলের পরিচিতিই হল তার ভাষা। বিজেপি ‌যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিম্নমানের ভাষা ব্যবহার করছে তা আমরা করব না। তাই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি। ওদের উদ্দেশ্য হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা ও গুরুঙের হাত শক্ত করা।


আরও পড়ুন-গুরুং নেই, প্রতিষ্ঠা দিবসে পার্টি অফিসের দখল নিল বিনয় গোষ্ঠী