নিজস্ব প্রতিবেদন: ডোমজুড়ের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।চাটার্ড প্লেনে উড়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছ থেকেই গলায় তুলে নিয়েছিলেন গেরুয়া উত্তরীয়।তারপর আজ প্রথমবার বিজেপি-র ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন নিজের বিধানসভা এলাকাতেই। আর সেখানেই তাঁকে কালো পতাকা দেখতে হল।ডোমজুড়ে পা দিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবকে কালো পতাকা দেখানো মাত্রই বিজেপির কর্মী সমর্থকরাও পাল্টা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে থাকে। এলাকায় বেশ খানিকটা উত্তেজনা তৈরি হয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার সকালে অভয়নগর থেকে পঞ্চাননতলা পর্যন্ত বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশ নেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানো মাত্রই তীব্র বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়। যদিও রাজীব এলাকায় আসার আগেই রবিবার সকাল থেকে কালো পতাকায় ছেয়ে গিয়েছিল এলাকা।পোস্টারও পড়ে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সব পোস্টারে লেখা ছিল ‘মীরজাফর’, ‘ভাগ গদ্দার ভাগ’। বেশ কয়েকটি জায়গায় তাঁর ছবিতে জুতোর মালাও পরানো হয়।


বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, কালো পতাকার পাশেই তৃণমূলের পতাকা লাগানো ছিল । তাই তারা নিশ্চিত, এ কাজ তৃণমূলের। রবিবার সকালে সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই ডোমজুড়ে আসেন রাজীব।পদযাত্রা শুরু হতেই কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একদল। তার পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।এরপর হঠাত্॥ই কিছুক্ষণের জন্য গোলমাল শুরু হলে, দলীয় কর্মীদের বুঝিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন রাজীব।কথা বলেন, স্থানীয় মানুষদের সঙ্গেও। 


ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ আছে কি না জানতে চাইলে রাজীব বলেন, ‘‘হতাশা থেকে এ সব করা হচ্ছে। মানুষই জবাব দেবেন। আমরা রাজনৈতিক ভাবে জবাব দেব।’’ এই ঘটনার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল । সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কালো পতাকা দেখানোর সংস্কৃতি বিজেপি-র। আমরা এ সব করি না।‘’