নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের বাজারে একের পর এক ইস্যু তুলে বিজেপি যখন ছক্কা হাঁকাচ্ছিল, কার্যত ডিফেনসিভ ভূমিকায় দেখা যায় শাসক দল তৃণমূলকে। এবার পুরো পুরো স্টেপ আউটে নামল মমতার বাহিনী। বুধবার, ভিডিয়ো.. কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাকলি ঘোষদোস্তিদার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “খালি পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। খাওয়া পাচ্ছে না। সে দিকে খেয়াল নেই কেন্দ্রের।” সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, লকডাউন ঘোষণার সময় কল্পনাশক্তির অভাব ছিল। কোনও পরিকল্পনা নেই। পরিযায়ী শ্রমিকদের টিকিটের দাম দেবে না, এটাই দুর্ভাগ্যজনক। আরও এক ধাপ এগিয়ে কাকলি ঘোষদোস্তিদারের তোপ, যাদের কাজের ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতি, কেন্দ্র তাদেরকে অবহেলা করছে। একবার বলছে বাসের ব্যবস্থা করবে, একবার বলছে ট্রেনের। এত অসুবিধার মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের আনার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা মনে করিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদরা।


আরও পড়ুন- এই প্রথম! 'রোবট' দিয়েই করোনা রোগীর চিকিত্সা, সাড়া ফেলে দিয়েছে রেলের আসানসোল ডিভিশন


রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগের পাশাপাশি করোনা পরীক্ষা সব রাজ্যের তুলনায় কম হচ্ছে বলে নিশানা করে বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তৃণমূলের পাল্টা তোপ, ঘণ্টা বাজিয়ে বা হেলিকপ্টারে ফুল ছড়িয়ে করোনা সংক্রমণ রোখা যাবে না। দরকার পিপিই। বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসাবে কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কাকলি। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠিয়েছে কেন্দ্র। কম সংখ্যক কিট পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। 


ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, মর্টালিটি রেট রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ নয়। গুজরাটে কত মরছে যুগ্ম সচিব বললে তাঁর তো প্রমোশন হবে না। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, বাংলায় কিট কম ছিল বিজেপি ডিবেটে আসুক। তবে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছেন, দেশের নিরিখে এ রাজ্যে পরীক্ষার হার কম, মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। স্বাস্থ্য সচিব, মুখ্যসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় বারবার অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে।