নিজস্ব প্রতিবেদন: চিকিৎসার ব্যয় ভার টানতে পারছিলেন না তৃণমূল কর্মী। আর্থিক দুরবস্থার কারণে গত তিন মাস ধরে বন্ধ হয়ে গেছে চিকিৎসা। শেষ পর্যন্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য নিজের কিডনি বিক্রির অনুমতি চেয়ে মালদার জেলাশাসকের কাছে আবেদন করল ছেলে। শুধু তাই নয় 'দিদিকে বলো' কর্মসুচীতেও ফোন করে সাহায্যের আবেদন করেছেন ছেলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: গাফিলতিতে মৃত্যু, আড়াই বছর পর অভিযুক্ত হাসপাতালকে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা স্বাস্থ্য কমিশনের


২০১৮ সালের ২মে গাজোলের রশিকপুরের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী নন্দরানী বিশ্বাস গাজলের শান্তি মোড় এলাকায় গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের  সমাবেশে যোগ দিতে। ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। এরপর তাকে মালদার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে। সেখানেই হাঁটুর ওপর থেকে ডান পা কাটা যায় এই মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর। তখন থেকেই কলকাতায় চিকিৎসা চলছে তার। 


তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলে নি সাহায্য বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে। এরপর জেলা শাসকের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছেন ওই মহিলার ছেলে গোপাল বিশ্বাস। সাহায্য না পেলে তাকে যাতে কিডনি বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয় আবেদনে উল্লেখ রয়েছে। আর এই নিয়ে তোলপাড় জেলার প্রশাসনিক মহল থেকে রাজনৈতিক মহল। এমন ঘটনার খবর পেয়ে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আশ্বাসও পেয়েছেন দিদিকে বল কর্মসূচি থেকেও। এই আশ্বাসেই আশায় বুক বেধেছেন। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অজয় গঙ্গোপাধ্যায়।