প্রবীর চক্রবর্তী ও মনোজ মণ্ডল: তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মীসূচিতে আজ ঠাকুরনগরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই ঠাকুরবাড়িতে কালো পতাকা নিয়ে জমায়েত করল মতুয়াদের একাংশ। ঠাকুরবাড়ির অধিকাংশ জায়গায় পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী পোস্টার। অভিষেককে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও দাবি উঠছে বিজেপির তরফে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিস-প্রশাসন। এমনটি মন্দিরের গেটেও লাগিয়ে দেওয়া হল তালা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাজারে আসছে বাঙলির সাধের ইলিশ, সাজসাজ রব সাগরে 


ঠাকুবাড়িতে রথের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি আজ রয়েছে অভিষেকের কর্মসূচি। এই দুই কর্মীসূচি উপলক্ষ্যে ঠাকুরবাড়িতে বিপুল সংখ্যায় পুলিস মোতায়েন করা হয়। এনিয়ে ক্ষুব্ধ মতুয়ারা। তাঁরা মঞ্চ তৈরি করে কালো পতাকা নিয়ে এর প্রতিবাদ করেন। নেতৃত্বে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। 


অভিষেকের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুভাগ ঠাকুরবাড়ির মতুয়ারা। একদল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে তৈরি। অন্যদিকে, অন্য একটি দল কালো পতাকা নিয়ে হাজির হয়ে যান ঠাকুরবাড়িতে। এনিয়ে উত্তজনার সৃষ্টি হয় ঠাকুরবাড়িতে। অভিষেকের কর্মসূচির বিরোধিতা করা হয় অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহসংঘের ব্যানারে। 


গাইঘাটার ক্যাম্প থেকে ঠাকুরবাড়িতে আসার কথা। কিন্তু তাঁকে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে শান্তনু ঠাকুর-সহ মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি অংশ সোচ্চার। কেন ঢুকতে দেওয়া হবে না? মতুয়া বিক্ষোভতারীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের অপমান করেছেন। তিনি যতক্ষণ না ক্ষমা চাইবেন ততক্ষণ অভিষেককে ঢুকতে দেওয়া হবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায় যেসব পুলিস কর্মী মোতায়েন করা হয় তাদের সরিয়ে দেন শান্তনু ঠাকুর। পাল্টা তৃণণূল কর্মীরাও সেখানে স্লোগান দিচ্ছেন। সবেমিলিয়ে ঠাকুরবাড়ির পরিস্থিতি উত্তেজনাকর।


শান্তনু ঠাকুর বলেন, কে আসব জানি না। আগামী ২০ তারিখ রথযাত্রা উপলক্ষ্যে কর্মসূচি সভা ছিল। আজ সাড়ে নটা থেকে সভা ছিল। কিন্তু এর আগে প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন। এত পুলিস ছিল না। এখন কেন এত পুলিস। কিসের ভয়? এত যদি ভয়, তাহলে আসা কেন?


অন্যদিকে, ঠাকুরবাড়ির অন্য সদস্য মমতাবালা ঠাকুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন, আমরা সম্মান জানিয়েছি। যারা রাজনীতি করছে তা করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। যেসব ব্য়ানার টাঙানো হয়েছে, আমি দেখেছে সেইসব ব্যানার শান্তনু ঠাকুরের বাড়ি থেকে বের হচ্ছে।


এদিকে, গোলমালের মধ্যেই মতুয়া ধর্মগুরু হরিচচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। সামনে মোতায়েন করে দেওয়া সিআইএসএফ জওয়ান। এনিয়ে ফরে শুরু হয় একদফা গন্ডগোল। শেষপর্যন্ত খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের তালা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)