নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘সকালে  যখন চোখ খোলে , তখন শুরু করি, রাতে চোখ বোজার আগ পর্যন্ত খাই। এটা আপনাদের কাছে মদ হতে পারে। কিন্তু এটা আমার কাছে  পরিশ্রুত মিশ্র ফলের নির্যাস।  আমার খাদ্য তালিকার মধ্যে পড়ে মদ।’


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

না, এটা কোনও মত্ত ব্যক্তির কথা নয়,  এটা তুফানগঞ্জ আইটিআই কলেজের অধ্যক্ষ  উইলিয়াম সোরেনের  কথা।  মঙ্গলবার কলেজ ক্যাম্পাসে নিজের ঘরে বসেই মদ্যপান করতে দেখা গেল তাঁকে।  মদ্যপান করতে করতেই তিনি বললেন বেশ কিছু বিস্ফোরক কথাবার্তা।


শুনুন কী বললেন তিনি...


 



চোখ প্রায় অর্ধেক বুজে গিয়েছে। জিভ জড়িয়ে আসছে, কথাগুলোও অগোছালো। পরিস্কারভাবে কথাও বলতে পারছেন না। কী বলছেন, তাও পরিস্কার নয় তাঁর কাছে। হয়তো  নেশার ঘোরে সেই মুহূর্তে  ওসব কিছু বিবেচনা করার ক্ষমতাটাও হারিয়েছেন তিনি! তাই  ফলাও করে ঘোরেই বলে চললেন নিজের  রোজনামচা!


টেবিলে রাখা নামী বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ। তার সঙ্গে রয়েছে তাস, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কয়েকশো লটারি। তুফানগঞ্জ আইটিআই কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকলে এই দৃশ্যই চোখে পড়বে আপনার। বুঝতে খানিকটা অসুবিধাই হবে, যে এটা নাকি কলেজের প্রিন্সিপ্যালের ঘর!


তিনি নাকি রোজই কলেজে বসেই মদ্যপান করেন।  তাঁর কথায়, ‘‘আমার খাদ্য তালিকার মধ্যে পড়ে মদ। তাই আমি কলেজেও মদ খাই। আপনারা যাকে মন বলেন আমার কাছে সেটা হলো পরিশ্রুত ফলের নির্যাস । চোখ যখন খুলে যায় তখন থেকে মদ খাই আর চোখ বন্ধ হয়ে গেলে ছেড়ে দি ।’’


কলেজে বসেই মদ্যপানের অভিযোগ আগেই ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার প্রিন্সিপ্যালকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ছাত্ররাই।  ছাত্ররাই তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি কলেজে বসে মদ্যপান করছেন? তখনই যে সব উত্তর দেন তিনি, তাতে চক্ষু ছানাবড়া!


উইলিয়াম সোরেনের  কাছ থেকে প্রচুর লটারি পাওয়া গিয়েছে।  এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য আরও চমকপ্রদ। তিনি নাকি কলেজে বসেই ভাগ্যচক্র পাল্টানোর চেষ্টা করছেন।